চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৪০ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। সংক্রমণ হার ১৭.৯৩ শতাংশ। এ সময়ে কোভিডে কারো মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া যায়নি।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়
থেকে প্রেরিত চট্টগ্রামের করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে আজ ২২ জুলাইয়ের
প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের
রিপোর্টে বলা হয়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি ও নগরীর দশ ল্যাব এবং এন্টিজেন টেস্টে গতকাল
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের ২২৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন পজিটিভ ৪০ জনের মধ্যে
শহরের বাসিন্দা ৩১ জন ও চার উপজেলার ৯ জন। উপজেলার ৯ জনের মধ্যে ফটিকছড়িতে ৪ জন, হাটহাজারীতে
৩ জন এবং রাউজান ও আনোয়ারায় একজন করে রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির
সংখ্যা এখন ১,২৮,৩০০ জন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৯৩,৫২০ জন ও গ্রামের ৩৪,৭৮০ জন। গতকাল
করোনায় শহর ও গ্রামে কেউ মারা যাননি। ফলে মৃতের সংখ্যা ১,৩৬৭ জনই রয়েছে। এতে শহরের
বাসিন্দা ৭৩৭ জন ও গ্রামের ৬৩০ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা
যায়, ফৌজদারহাটে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি)
ল্যাবে গতকাল সবচেয়ে বেশি ৩৯ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়। এখানে শহরের ৮ জন পজিটিভ হন। চট্টগ্রাম
মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (চমেকহা) ল্যাবে ১৩ নমুনার মধ্যে শহরের ৪টিতে জীবাণুর অস্তিত্ব
মিলে। আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ পরীক্ষিত ১১ নমুনার মধ্যে শহরের ৫টিতে
করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন কেন্দ্রে ৩৭ জনের এন্টিজেন টেস্ট করা
হলে গ্রামের ৯ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে জানানো হয়।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি
শেভরনে ২৩ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ২ জন আক্রান্ত পাওয়া যায়। ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে
৩৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৪ জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়ে। মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে
১২ জনের নমুনায় শহরের একজনের দেহে জীবাণুর অস্তিত্ব মিলে। এপিক হেলথ কেয়ারে ২০ নমুনার
মধ্যে শহরের ৩টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব চিহ্নিত হয়। এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে পরীক্ষিত
৫ নমুনার ৪টিতেই করোনা ভাইরাস চিহ্নিত হয়। আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ৬, মেট্রোপলিটন
হাসপাতালে ৬ এবং এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে ১৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে সবগুলোরই ফলাফল নেগেটিভ আসে।
এদিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
(চবি), চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু), ল্যাব
এইড ও শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। কক্সবাজার
মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবেও চট্টগ্রামের কোনো নমুনা যায়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে
সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়: বিআইটিআইডি’তে ২০.৫১ শতাংশ, চমেকহা’য়
৩০.৭৭, আরটিআরএল-এ ৪৫.৪৫, শেভরনে ৮.৬৯, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১১.৭৬, মেডিকেল সেন্টার
হাসপাতালে ৮.৩৩, এপিক হেলথ কেয়ারে ১৫ ও এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে ৮০ শতাংশ এবং আগ্রাবাদ
মা ও শিশু হাসপাতাল, মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ও এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে ০ শতাংশ।
এন্টিজেন টেস্টে এ হার পাওয়া যায় ২৪.৩২ শতাংশ।