শাহিদ আনোয়ার ও তাঁর কবিতা


প্রকাশিত : রবিবার, ২০২২ মে ২২, ০৫:২৪ অপরাহ্ন

শাহিদ আনোয়ার আমার সমসাময়িক কবি। আমার কিছু আগে থেকে কবিতাচর্চা শুরু করলেও আশি’র দশকই তাঁর মৌল স্ফুরণকাল। আমিও দশকটির জাতক।  সেকালের বামরাজনীতির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সূত্রে জড়িত শাহিদ কবিতায়ও তার বিস্তার ঘটিয়েছেন যথোচিত মাত্রায়। রাজনৈতিক কর্মকান্ডের সমতালে কবিতায় নিমজ্জিত শাহিদ আনোয়ার বরাবরই নম্রভাষী ও বন্ধুবৎসল বলে তাঁর সঙ্গ আমার বেশ ভালো লাগতো। তাঁর মতো প্রত্যক্ষ রাজনৈতিক সংস্রব ছাড়াই আমার মার্কসবাদ পাঠ তিনি বুঝতে পেরেছিলেন। ফলে আমার কবিতার মনস্কপাঠের মাধ্যমে তিনি তা অকপটে প্রকাশ করতেন, সঙ্গে কিছু খাতিরও জুটতো সিগারেটটা এগিয়ে দেয়ায়, চা-টা খেতে ডাকায়। তবে যাকে বন্ধুতা বলে, আমার ধারণা, ওটা কখনও গড়ে ওঠেনি আমাদের মধ্যে। সেটাকে উভয় দিকের খামতি বলেই মনে হচ্ছে এখন। দুজনই ধ্রুপদী ভদ্রজনোচিত সম্পর্কের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিলাম। তবে বিভিন্ন ছোটোকাগজ ও দৈনিকের পাতায় পরস্পরের কবিতা আমাদের উভয়কে আনন্দ দিত। সে নিয়ে কথা হতো কোথাও-কখনো দেখাটা হয়ে গেলে। দুজনের প্রশংসায় দুজনে মেতে উঠলে সেখানে অন্যেরা বিব্রতবোধ করলেও আমরা তা চালিয়ে গেছি সিগারেটের ধোঁয়া উড়িয়ে আর হাসি-মশকরায়। আফসোস, শাহিদ আনোয়ারকে কি মেথরপট্টি কি মফস্বল কি পাহাড়ের পানশালায় পাইনি কখনও। অথচ ‘শুঁড়িখানার নুড়ির মধ্যে’ নামের কাব্য শাহিদই লিখলেন!

 

দুই

কবির কোনো সামাজিক দায়বদ্ধতায় আমি তেমন বিশ্বাস করি না। কবিকে এতটাই মুক্ত মনে করি, রাজনীতি-দর্শন এবং আরও যা যা জ্ঞানবর্গীয় উচ্চতা ও বৃত্তাবদ্ধতা আছে এই জগতে, তার সবকটাই শেকলস্বরূপ কবির জন্যে। এমনকি গিঁঠবদ্ধ ধর্মকেও আমার তাইই মনে হয়। বরং ধর্ম ও রাজনীতির লোকায়তরূপে আমার মতো সাধারণের পাখনা মেলার অসামান্য সুযোগ থাকায় সব সময় ওদিকেই ঝুঁকে থাকি বলে মনে হয়। শাহিদের মধ্যেও বিষয়টির স্বচ্ছ উপস্থিতি আছে, চেতনায় ও কাব্যকর্মে। এটা নিশ্চয় মার্কসবাদরূপ উজাড় বানের স্রোতের শেষে পলিসদৃশ উর্বরাভ‚মি থেকে জাত। খুবই কঠিন একটা লড়াই এটা। ওই পর্যন্ত আসতে অনেকের হাঁপ ধরে যায়। এই ফাঁকটায় সচ্চিদানন্দ খানকা আর আশ্রমের ছায়ায় জিরোবার আগেই তাঁরা অনেকে কাঠমোল্লা ও পুরুতের কাতারবন্দি হয়ে পড়েন অথবা তাঁদের পিছু-পিছু ছুটতে থাকেন। তখন কবিতা বা শিল্পকলা নয়, অন্যকিছু প্রধান ও আরাধ্য হয়ে ওঠে ছোবল উদ্যত নাগের লকলকে জিবের মতো। কবি শাহিদ আনোয়ার মনের ভেতরে সেই প্রকৃত দেউটিটি জা¦লিয়ে রাখতে পেরেছেন পিলসুজ হয়ে। তাঁর মনের দেউড়িতে বিশ্বের সমস্ত বাতাস ধীরে-ধীরে প্রবেশের পর সৌরভ ছড়িয়ে সভাসদের আসন গ্রহণ করে এবং তাঁকে সালাম জানায়।

শাহিদ আনোয়ার প্রকৃত স্বাধীনচেতা মানুষ এবং সেই কারণেই তিনি কবি। বাহ্যাড়ম্বরহীন এ মানুষগুলোর তো সমাজের বাঁকাচোখের তরবারির নিচে কাটা পড়ার সমূহ আশঙ্কা থাকেই প্রবলমাত্রায়। পাশাপাশি তাঁদের ভুরুর ধনুকে, অবয়বিক নির্লিপ্ততায় একটি প্রতাপী কৃষ্ণবিবরও হা করে থাকে অষ্টপ্রহর। যার ভেতরে পারিপার্শ্বিকতার নানামাত্রিক ত্রসরেণুসমূহ চুম্বকীয় আকর্ষণে নীরবে বিলীন হয়ে যায় পরতে-পরতে। আর সেই মৌন গহবর থেকে পয়দা হতে থাকে ধীরে নতুন-নতুন নক্ষত্রসন্তানেরা। অভিনব, অনিন্দ্য বসন ও ভ‚ষণ তাঁদের। পৃথিবীর হারিয়ে যাওয়া ও অনুভ‚ত ওইসব সুন্দরেরা অতঃপর সটান শুয়ে থাকে পথের পাশে কম্বল মুড়ি দিয়ে প্রকৃত স্বজনের স্পর্শের আশায়। জনপদের খুঁতখুঁতে মানুষের সংশয়ী ঠোঁটের কোণে এরাই অলৌকিকের হাসিটা ফুটিয়ে দেন। এরাই চিরবঞ্চিতের বুকের পাঁজরে স্বর্গের মানচিত্রটি এঁকে পথ দেখান জীবনের গভীর কুঞ্জবনের। সেই কারণে গত করোনাকালের প্রথম তোলপাড়ের প্রায় শুরুতে শাহিদ আনোয়ারের অসুস্থ হয়ে পড়ার খবরে এবং তাঁর স্ত্রী কবি সেলিনা শেলীর উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় বিচলিত হয়ে ‘রাতে আমার পেখম মেলে’ কাব্যটি এই দম্পতিকে উৎসর্গ করি ২০২০ সালের একুশে ফেব্রুয়ারির বইমেলায়। জানতাম, এ তাঁর আরোগ্যলাভের ক্ষেত্রে কোনো ধন্বন্তরি প্রভাব ফেলবে না, তবে ওই উৎসর্গের ভেতরে হীরের দ্যুতির মতো সহমর্মিতার স্মিত হাসি অনুক্ষণ খেলা করছে, এ আমার বিশ্বাস। কবিরূপ প্রকৃত মানবাত্মা এখানে জেগে থাকে জিয়োরদানো  ব্রুনোর রাত্রি জাগরণের মতো। বিদ্যাসাগরের অপার করুণার মতো। সত্য ও সুন্দরের পক্ষে ক্ষত্রিয় হুমায়ুন আজাদের ক্রোধের মতো ।

 

তিন

শাহিদ আনোয়ার চট্টগ্রাম নগরের কবি নজরুল ইসলাম সড়কের শ্রীশ্যামাচরণ কবিরাজ ভবনের পড়ো-পড়ো ঘরগুলোর একটিতে দীর্ঘদিন বসবাস করেছেন। আশি’র দশকের কোনো এক ভরসন্ধেয় ফিরিঙ্গি বাজারের হট্টগোল থেকে ফেরার পথে ওই ভবনে তাঁর আতিথ্য নিয়েছিলাম খেয়ালের বশে। প্রসন্ন শাহিদ তখন একটি কালো ট্রাংকে তাঁর লেখার অনেক কাগজপত্র আমাকে দেখিয়েছিলেন। কবিতাসহ নানাবিধ লেখার সেই সম্ভার কি হারিয়ে ফেলেছেন শাহিদ আনোয়ার? কেননা তাঁর প্রকাশিত লেখার পরিমাণ ওই ট্রাংকে দৃষ্ট লেখাপত্রের তুলনায় যথেষ্ট কমই মনে হচ্ছে।

শাহিদ আনোয়ারের একটি কবিতা ‘প্রতিবেশিনীর জন্য এলিজি’ সাম্প্রতিক বাংলা কবিতায় সংবেদী ও উচ্চ অনুভবের উচ্চারণ সংযুক্ত করতে সক্ষম হয়েছে। মধ্য আশি’র দশকে তাঁর ওই কবিতাটি আমার খুব ভালো লেগেছিল। কবিতার পরাভাষার মোহজালে পাঠক এখানে অন্তর নয়নে প্রত্যক্ষদর্শী হয়ে ওঠে একটি মর্ম উদ্যানের বহুবিধ উদ্ভাস ও উন্মোচনের। অন্তর্গত দহন, সেই দহনের চঞ্চলতা ও সময়ের স্রোত এখানে অন্বিষ্টে পৌঁছুতে কালবিলম্ব করে না অথবা স্থবির রাখে না সত্তার সাবলীল চলনকে :

 

যখন বাসায় গেলাম তুমি হাসপাতালে

যখন সমস্ত কেবিন খুঁজে কর্তব্যরত ডাক্তারকে জিজ্ঞেস করিÑ

তুমি পরলোকে

ফের বাসায় গেলাম

তুমি চিতায়

এবং যখন চিতায় গেলাম তুমি পুড়তে পুড়তে অঙ্গার

শুধু দুটি পোড়া পায়ের পাতা দেখতে পেয়েছি।

 

আঁখি দাশগুপ্তা

ভালোবাসা বলতে যা বোঝেন বিজ্ঞলোকেরা

ও রকম কিছুই ছিল না আমাদের

তবে মিথ্যে নয়

তোমাকে লক্ষ্য করে মাঝে মাঝে ভাবনার কালো পিপীলিকা

একটুও হাঁটতো না, এমনও নয়।

 

যখন এ লোকে ছিলে

তুমি এড়িয়ে চলেছ ভদ্রভাবে

যখন ও লোকে যাচ্ছ চলে তখনো এড়িয়ে গেলে

চমৎকার ভদ্রতার সাথে!

…………..

তবে

কী যে ছিল

দাঁড়াও আঁখি

আজকের মেঘলা রাতের সাথে পরামর্শ করি!

 

কবিতাটি দৃশ্যের পর দৃশ্যের বদল ঘটাতে-ঘটাতে অভিপ্রায়টির অর্গল খুলেছে। আলোর উৎসবে যোগ দিয়েছে পাঠককে নিয়ে।

 

চার

২০০৩ সালের অকটোবর সংখ্যায় আমার সম্পাদিত ‘পুষ্পকরথ-এ তাঁর একটি কাব্যগ্রন্থের আলোচনা করেছিলাম স্বতোপ্রবৃত্ত হয়ে : ‘আমাদের সময়ের নিভৃতচারী কবিদের একজন শাহিদ আনোয়ার। বিগত বিশ শতকের সত্তর-আশি’র দশকের সন্ধিক্ষণের সাম্যবাদী রাজনীতির তুখোড় কর্মী তিনি। ওই কমিটমেন্টের দায় নিয়ে সমাজের বিভিন্ন স্তরের জনমানুষের ভেতর প্রবেশ ঘটেছিল তাঁর। এদেশের প্রচলিত রাজনীতি অধিকাংশ ক্ষেত্রে যে মুখগুলোকে আমাদের সামনে হাজির করে, শাহিদ আনোয়ার সে-মুখগুলোর পাশে ভারি বেমানান। ধ্যানী, আত্মমগ্ন সুফির দিনকাল নিয়ে তাঁর জীবনযাপন বা কবিতাযাপন। কোনো উচ্চনাদী উপস্থিতির জানান নেই কোথাও।

গত বিশ শতকের মধ্য-আশি’র দশকের এক সন্ধ্যায় নগর চট্টগ্রামের ফিরিঙ্গিবাজার শ্রীশ্যামাচরণ কবিরাজ ভবনের জীর্ণ ভবনের দোতলার কক্ষে শাহিদ আনোয়ার যে-কবিতাগুলো শুনিয়েছিলেন একান্তে, সেগুলোর কথা আবছা-আবছা মনে পড়ে, যা আগেই কিছু বলেছি। একটা কালো ট্রাংকে অজস্র এলোমেলো কাগজের ভিড় থেকে শাহিদ একেকটি কবিতা উদ্ধার করেন আর উচ্চারণ করেন তন্ময় ভঙ্গিতে। জানি না পরবর্তীকালে প্রকাশিত তাঁর কাব্যগ্রন্থ ‘শুঁড়িখানার নুড়ির মধ্যে’ (২০০০) আর ‘কুঁকড়ে আছি মনোটোনাস গর্ভে’ (২০০২) ওই কবিতাগুলোর ঠাঁই হয়েছে কিনা। প্রথম কাব্যটি পাঠের সৌভাগ্য আমার হয়নি। এখানে কিছুটা আলোকপাতের চেষ্টা থাকছে দ্বিতীয় কাব্যটি নিয়ে। এখানে গ্রথিত অনেক কবিতাই দেখছি আগে পড়া। বিভিন্ন সংকলন ও লিটল ম্যাগাজিনের পাতায় আশি’র দশক থেকে চলমান শতকের শূন্যদশকের প্রথম পর্যায়ে লেখা মোট ৩৬টি কবিতায় সজ্জিত গ্রন্থটি। কবিতার কাগজ ‘মধ্যাহ্ন’ থেকে প্রকাশিত ‘কুঁকড়ে আছি মনোটোনাস গর্ভে’র বেশ কিছু কবিতা শাহিদ আনোয়ারের কবি-প্রতিকৃতির উজ্জ্বলতা রক্ষা করেছে। বিশেষ করে গ্রন্থের নামকবিতাটি তার সদগুণের জন্যে সবিশেষ উচ্চারিত। একঘেঁয়ে, দুঃসহ পরিপাশ থেকে পরিত্রাণকামী আত্মার প্রার্থনা ও ক্রন্দন ধ্বনিত হয়েছে কবিতাটির ছত্রে-ছত্রে :

 

জড়িয়ে আছি গর্ভে ফুলে ফুলে

মনোটোনাস রাত্রি ওঠে দুলে

উৎস থেকে আমায় ফেলো খুলে

মিথ্যা থেকে আমায় লহো তুলে

স্বপ্ন ছিঁড়ে দোলনা কাছে আনো

ধাত্রী আমায় দুহাত ধরে টানো …

 

গেল শতকের সত্তর দশকের মাঝপর্ব থেকে পুরো আশি’র দশকজুড়ে স্বৈরাচার কবলিত বাংলাদেশের সমাজ ও সাধারণ মানুষের মুক্তি আকাক্সক্ষার দৃশ্যপট ধারণ করেছে কবিতাটি। অবৈধ ক্ষমতার বলদর্পীদের প্রতি ঘৃণার উদ্গারও আড়াল নেই এখানে। আজও কি বাংলাদেশের মানুষ ওই ‘মনোটোনাস’ গর্ভ থেকে উদ্ধার পেয়েছে?

 

পাঁচ

ফিরিঙ্গি বাজারের শ্রীশ্যামাচরণ কবিরাজ ভবন (অধুনালুপ্ত) নিয়ে লেখা কবিতা দুটিতে পুরোনো স্মৃতির ঘরে যেন ঘাই জাগে নব আশ্লেষের। সারাদিনমান ব্যস্ত কবি নজরুল সড়কের পাশের ওই ঝুরঝুরে দালানের যাঁরা ছিলেন বনেদি বাসিন্দা, তাঁরা যেন কোন্ প্রত্ন সময়ের মানব-মানবী! হাসিমুখ সুবেশী তরুণ-তরুণী ওই ভবনের সিঁড়ি বেয়ে ওঠে আর নামে। করিডরে দাঁড়িয়ে সিঁথিতে জ্বলজ্বলে সূর্যোদয় বা সূর্যাস্তের গাঢ়রঙ নিয়ে কত রাজস্বলা নারী ও প্রৌঢ়া খুব নিরীক্ষণ করে তরুণ কবির মুখ (বখাটে নয়তো কোনো!)। ওদিকে গরগর শব্দ তুলে আড়ত থেকে বেরিয়ে আসে ঠেলাওলার খিস্তি আর :

 

… বুনোমহিষের মতো ফুঁসতে ফুঁসতে গেলে লরী

বুকের পিঁজরাসহ কেঁপে ওঠে আমাদের পুরনো ভবন।

কখনো স্বপ্নে দেখি, এ ভবন ধসে পড়ে ভেঙে চুরমার

কেউ বেঁচে নেই শুধু আমি একা

দু’হাতে সরিয়ে ধস পানকৌড়ির মতো ঘাড় তুলে

চাইছি বেরুতে।

(শ্রীশ্যামাচরণ কবিরাজ ভবন : ১)

 

চলে যাওয়া সময়গুলোর আড্ডা আর স্মৃতি নিয়ে অনেক কবিতাই লেখা হয়েছে বাংলা ভাষায়। ও-নিয়ে গান আর স্মৃতিমেদুর গদ্যের সংখ্যাও সুবিশাল পাথারসম। কোনো এক রাগী লেখক বাঙালিকে ‘আড্ডাজীবী’ বলে ঠাট্টাও করেছেন এ ব্যাপারে। ওইসব আড্ডার অতীতমুগ্ধতাকে ইংরেজিতে আদর করে ‘নস্টালজিয়া’ বলে অনেক শিক্ষিত বাঙালি নাকি তৃপ্তিবোধ করেন। শাহিদ আনোয়ারও চট্টগ্রাম শহরের অনেক কবির মতো বেশুমার আড্ডা পিটিয়েছেন ঘুপচি রেস্তোরাঁয়, ধোঁয়া ওঠা হোটেলের কোনায়। কী তৃষ্ণায়, কীসের আশায়, কে জানে! বহুদিন পর আড্ডার সেই লড়াকু বন্ধুদের সমকালীন সুবিধাশিকারের প্রসঙ্গটি শাহিদ এঁকেছেন বড় দগদগে রঙে :

 

সখ্যতার এই টেবিল জুড়ে এখন কী যে হচ্ছে

জানতে চাওয়ার ইচ্ছে হওয়া অস্বাভাবিক নয়।

উজ্জ্বলতায় কোত্থেকে য্যান হচ্ছে জমা মরচে

পেরেকগুলোর মরচেপড়া অস্বাভাবিক নয়। …

(সখ্যতার এই টেবিলজুড়ে)

 

এছাড়া স্বর্গীয় রেল, ত্রাস, নার্স, তপস্যা, আল্লাহর রঙে, আটচল্লিশ ঘণ্টা একটানা হরতালের পর ফিরে পাওয়া স্বাভাবিক জীবন অবস্থা, খুলনা জেল-৮০ প্রভৃতি কবিতা কাব্যগ্রন্থটিকে মান্য করে তুলেছে।


প্রধান সম্পাদক : জ্যোতির্ময় নন্দী
প্রধান নির্বাহী :  জামাল হোসাইন মনজু

ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :   অভ্র হোসাইন 

প্রকাশক ও চেয়ারম্যান : অর্ক হোসাইন

 

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয় :

এপিক ইত্তেহাদ পয়েন্ট [লেভেল-৪]

৬১৮ নুর আহমদ রোড

চট্টগ্রাম-৪০০০।

Newsroom :

Phone : 01700 776620, 0241 360833
E-mail : faguntelevision@gmail.com

© ২০২২ Fagun.TV । ফাগুন টেলিভিশন কর্তৃক সর্বসত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed by Smart Framework