দীর্ঘ এক বছর
পড়ালেখা শেষে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে নতুন বছরের প্রথম দিনেই নতুন বই হাতে পেয়ে উচ্ছসিত
শিক্ষার্থীরা। অথচ একসময় নতুন বছরের শুরুতে নতুন বই হাতে পাওয়ার উচ্ছাস কিছু শিক্ষার্থীর
মাঝে থাকলেও দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীদের সে উচ্ছাস থাকতো না। সে সময় অর্থের অভাবে
তাদের অভিভাবকরা নতুন বই কিনে দিতে ব্যর্থ হতো। দু’একটি পুরাতন বইয়ের
জন্য অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা এক দরজা থেকে
অন্য দরজায় ছুটে যেতো। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষায় সকলের সমান
অধিকারের কথা চিন্তা করে ২০১০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কোটি কোটি শিক্ষার্থীর মাঝে বিনামূল্যে
নতুন বই বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেন।
১ জানুয়ারি সোমবার
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)-এর উদ্যোগে মিউনিসিপ্যাল স্কুল এন্ড কলেজ ক্যাম্পাসে
উৎসবমুখর পরিবেশে বই উৎসব ২০২৪ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।
এসময় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন ৫২টি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে উৎসব
মুখর পরিবেশে বই বিতরণ করা হয়েছে।
চট্টগ্রামের প্রাথমিক
এবং মাধ্যমিক পর্যায়ের ১৪ লাখের বেশি শিক্ষার্থীর হাতে আজ নতুন বই তুলে দেওয়া হচ্ছে।
চট্টগ্রামে ২ হাজার ২৬৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ মোট ৪ হাজার ৫৪৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে
বর্তমানে ১১ লাখের বেশি ছাত্রছাত্রী অধ্যয়ন করছে। চট্টগ্রামের ১১ লাখ শিক্ষার্থীর মাঝে
৪৪ লাখ ৪৮ হাজার ৫৯০টি বই বিতরণ উৎসবের কাজ চলমান রয়েছে। সারা বাংলাদেশে মাধ্যমিক,
কারিগরি ও মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন স্তরে ৩ কোটি ৮১ লাখ ২৮ হাজার ৩শত ২৪ জন শিক্ষার্থীর
মাঝে প্রায় ৩০ কোটি ৭০ লাখ ৮৩ হাজার ৫শত ৭০ টি পাঠ্যবই বিনামূল্যে বই বিতরণ কার্যক্রমও
চলমান আছে।
এসময় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এর সচিব খালেদ মাহমুদের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন চসিকের কাউন্সিলর শিক্ষা বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, স্বাস্থ্য বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি জহর লাল হাজারী, সমাজকল্যাণ স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবদুস সালাম মাসুম, রুমকি সেনগুপ্ত, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল হাশেম, শিক্ষা কর্মকর্তা রাশেদা আক্তার, চসিকের উপ-সচিব আশেকে রসুল টিপু, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি চৌধুরী ফরিদ, চসিক মিউনিসিপ্যাল মডেল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ সাহেদুল কবির চৌধুরীসহ চসিকের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
- মা.ফা.