চট্টগ্রাম নগরে ১৩ বছর পর প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

বিগত ২০০৮ সালে সর্বশেষ ৫ম শ্রেণির প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। দীর্ঘ ১৩ বছর পর আবারও অত্যন্ত সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ বছর বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ে মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষা নেয়া হয়। ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় শিক্ষার্থীরা সরকারী প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। দীর্ঘ ১৩ বছর পর বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ায় অভিভাবকেরাও আনন্দিত।

৩০ ডিসেম্বর শুক্রবার সকালে নগরীর কোতোয়ালী থানাধীন বৌদ্ধ মন্দির সংলগ্ন সরকারী ন্যাশনাল প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা-২০২২ পরিদর্শনকালে একথা বলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় উপ-পরিচালক (ডিডি) ও চট্টগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (ডিপিইও) মো. শহীদুল ইসলাম।

পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শনকালে গণমাধ্যম-কর্মীদের তিনি আরো জানান, নগরীর বাইরে বিভিন্ন উপজেলার কেন্দ্রগুলোতেও সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, সহকারী শিক্ষা অফিসার ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষকগণ বৃত্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার দায়িত্বে ছিল। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও প্রত্যেক পরীক্ষা কেন্দ্রে আন্তরিকভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

তিনি আরো জানান, এবার প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় চট্টগ্রাম নগরীর ১৪টি ও জেলার ১৫ উপজেলার ২৭টিসহ সর্বমোট ৪১টি কেন্দ্রে ২৯ হাজার ৩৯৯ জন শিক্ষার্থী প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। তন্মধ্যে ৩৩৩ জন ইংরেজি ভার্সনের শিক্ষার্থী ছিল।

পরিদর্শনকালে সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রিটন কুমার বড়ুয়া, কোতোয়ালী থানা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. হারুন-উর রশিদ ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বদরুননেছা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও পরীক্ষা চলাকালে কোতোয়ালী থানাধীন গুলএজার বেগম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ডবলমুরিং থানাধীন লালখান বাজার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা পরিদর্শন করেন ডিপিইও।

- মা.ফা