১৯৪৭-এ
ব্রিটিশ উপনিবেশিক ভারত বিভাজনের মা্ধ্যমে মুসলমানদের জন্যে আলাদা রাষ্ট্র পাকিস্তান
সৃষ্টিতে বাঙালি মুসলমানদের অবদানই যে সর্বাধিক ছিলো এতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু এটা
সর্বজনজ্ঞাত যে, পাকিস্তান হওয়ার পূর্ব পাকিস্তানের পরপরই বাঙালি মুসলমানদের স্বপ্নভঙ্গ
হতে থাকে, হাজার মাইল দূরের পশ্চিম পাকিস্তান থেকে বাঙালিদের ওপর নব-উপনিবেশিকতাবাদী
স্টিম রোলার চালানোর কারণে।
পরের
বছর ১৯৪৮-এই পশ্চিম পাকিস্তানিদের এ মনোভাবের সর্বপ্রথম নগ্ন বহিঃপ্রকাশ ঘটে, যখন পাকিস্তানের
জনক এবং প্রথম গভর্নর জেনারেল কায়েদে আজম মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঢাকায় সোহরাওয়ার্দী
উদ্যানে ঘোষণা করেন: “উর্দু-- উর্দুই হবে পাকিস্তানের
একমাত্র রাষ্ট্রভাষা।” ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-ছাত্ররাসহ
দেশের বুদ্ধিজীবীরা ও সচেতন জনসমাজ জিন্নাহ্’র এ উক্তির চরম প্রতিবাদ জানায়। দেখতে
দেখতে
“সে-আগুন ছড়িয়ে গেলো
সবখানে”।
সে-ই
ছিলো শুরু। তারপর থেকে এদেশে বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার বিকাশে যে কয়টি
আন্দোলন হয়েছে তার প্রায় সবকটির শুরুটা ছিলো বুদ্ধিবৃত্তিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলন দিয়েই,
যা পরবর্তীতে রাজনৈতিক আন্দোলনে রূপ নিয়েছে। ভাষা আন্দোলনের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত
তৎকালীন তরুণ নেতা শেখ মুজিবুর রহমান এসময় থেকেই ধীরে ধীরে বাঙালির স্বাধিকার প্রতিষ্ঠার
রাজনৈতিক আন্দোলনের প্রধান নেতৃত্বের ভূমিকায় চলে আসেন, এবং প্রতিটি আন্দোলনেই ঐক্যবদ্ধভাবে
সমর্থন ও দিকনির্দেশনা দিয়ে গেছেন দেশের বুদ্ধিজীবীরা।
১৯৫২-তে
যে ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বাঙালির জাগরণের শুরু হয়েছিলো,
তার পুরোটা জুড়েই অগ্রদূতের ভূমিকায় ছিলেন বুদ্ধিজীবীরা। বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বাংলা ভাষা প্রতিষ্ঠার দাবীকে স্বাধিকার আন্দোলন থেকে রাজনৈতিক
আন্দোলনে রূপ দিয়েছে। ভাষা আন্দোলনে শাহাদত ও জেলজুলুম বরণকারীরা প্রায় সবাই ছিলেন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র।
কিন্তু
ক্রমে ক্রমে এ আন্দোলন একটি রাজনৈতিক রূপ পরিগ্রহণ করতে থাকে, এবং তাতে নেতৃত্ব দিতে
থাকেন শেখ মুজিব। ১৯৫৪’র যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ১৯৬২’র শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৬৬’র ছয় দফা, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ’৭০-এর নির্বাচন ও ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি ক্ষেত্রেই
বুদ্ধিজীবী সমাজ সামাজিক ও সাংস্কৃতিকভাবে বাঙালি জাতীয়তাবাদের উন্মেষ ঘটিয়েছেন। ১৯৬৬-তে
আওয়ামী লীগের দেয়া ছয় দফা ‘বাঙালি জাতির মুক্তিসনদ’ আখ্যা
পায়, এবং ছয় দফার প্রণেতা শেখ মুজিব হয়ে ওঠেন ‘বাংলার নয়নমণি’। ’৬৯-এ মুজিবের নেতৃত্বে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানে পাকিস্তানি সামরিক স্বৈরশাসক
জেনারেল আয়ুব খানের পতন ঘটার পর বাংলার মানুষ শেখ মুজিবকে পরম শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায়
‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করে, যা তাঁর পরবর্তী জীবনেই শুধু নয়, মৃত্যুর পরও তাঁর
নামের অপরিহার্য অঙ্গ হয়ে আছে।
পর্যায়ক্রমিক
এই আন্দোলনের ফলেই জনগণ ধীরে ধীরে নিজেদের
দাবি ও অধিকার সম্পর্কে সচেতন হয়ে উঠতে থাকে যা পরবর্তীতে তাদের স্বাধীনতার আন্দোলনের
দিকে ধাবিত করেছে। আর এই কাজটি সুচারুভাবে সম্পন্ন করেছেন আমাদের বুদ্ধিজীবীরা। বুদ্ধিজীবীরা
একদিকে যেমন পূর্ব পাকিস্তানিদের ওপর পশ্চিম পাকিস্তানিদের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অন্যায়-অবিচারের
ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করেছেন, অন্যদিকে বাঙালির সাংস্কৃতিক যুদ্ধকে ত্বরান্বিত করেছেন।
এসব কারণেই পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালি বুদ্ধিজীবীরা পাকিস্তানের রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও
সামরিক জান্তার প্রধান টার্গেটে পরিণত হয়েছিলো। একাত্তরে স্বাধীনতা যুদ্ধের শেষ পর্যায়ে
নিশ্চিত পরাজয় আঁচ করতে পেরে বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার লক্ষ্যে ১৪ ডিসেম্বরের নারকীয়
হত্যাযজ্ঞ ঘটায়। এ জাতি যাতে শিক্ষাগত, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক দিক থেকে হীনবল হয়ে পড়ে,
এই ঘৃণ্য উদ্দেশ্য নিয়েই পাকিস্তানিরা বুদ্ধিজীবী হত্যার নীলনকশা প্রণয়ন ও বাস্তাবায়ন করে।
তবে
বাঙালি জাতিকে সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও শিক্ষাগত দিক থেকে দুর্বল ও পঙ্গু করে দেওয়ার
পরিকল্পনার বাস্তবায়ন তারা শুরু করে যুদ্ধের একদম শুরু থেকেই। অপারেশন সার্চলাইটের
মাধ্যমে ২৫ মার্চের কালরাতে পাক হানাদার বাহিনী যে-গণহত্যার সূচনাই করেছিল শিক্ষক অধ্যাপক
বুদ্ধিজীবী হত্যার মধ্যে দিয়েই। পাকিস্তানি নবউপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে মূল আওয়াজটা
যেখান থেকে আসছিল, তাকে স্তব্ধ করে দেয়ার লক্ষ্যে সে-রাতেই হত্যা করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
শিক্ষক ড. গোবিন্দ চন্দ্র দেব, ফজলুর রহমান খান, জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা-সহ বহু শিক্ষক
ও শিক্ষার্থী। দেশের অন্যান্য জেলা ও মহকুমা সদরেও একইভাবে রাজনীতিকদের পাশাপাশি শিক্ষাবিদ,
সাহিত্যিক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থীদের হত্যা করা হয়েছে।
স্বাধীনতা যুদ্ধের পুরো নয়মাস কাল ধরে রাজনীতিবিদ ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সাথে সাথে
বুদ্ধিজীবী হত্যাও চলেছে সমানতালে। তবে একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের পূর্বক্ষণে পাকিস্তানীরা
এবং তাদের এদেশীয় দোসররা বীভৎসতা ও নারকীয়তার সব সীমা ছাড়িয়ে যায়। পরাজয় অত্যাসন্ন
বুঝতে পেরে ১৪ ডিম্বের রাতে তারা তাদের প্রতিহিংসাবৃত্তির চরম পরিচয় দিয়ে দেশেল শীর্ষস্থানীয়
বুদ্ধিজীবীদের বর্বরভাবে হত্যা করে, যার দ্বিতীয় নজির বিশ্বের ইতিহাসে খুঁজে পাওয়া
যাবে না।
বুদ্ধিজীবীদের
আলাদাভাবে টার্গেট করার পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ ছিলো। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশ যেনো মেধায়-মননে
মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে, যে-অসাম্প্রদায়িক বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনার ওপর ভিত্তি
করে এ রাষ্ট্রের সৃষ্টি, স্বাধীনতার পর এ মাটিতে সেই চেতনাবৃক্ষ আর যাতে ডালপালা ছড়াতে
না পারে, পাকিস্তান পরাজিত হলেও পাকিস্তানি চেতনার বীজ যাতে বাংলার মাটিতে থেকে যায়
আর সে-বীজ থেকে অঙ্কুরোদ্গম যাতে নির্বিগ্নবাবে অব্যাহত থাকে, এসব সুদূরপ্রসারী অপউদ্দেশ্য
নিয়েই এই বর্বর হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছিলো।
একাত্তরের
১৪ ডিসেম্বরের পথ বেয়েই এসেছিলো পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট ও ৩ নভেম্বরের হত্যাকাণ্ড। এ দুই
তারিখে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু এবং স্বাধীন বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতিসত্তা প্রতিষ্ঠায় তাঁর
প্রধান সহযোগী চার জাতীয় নেতাকে হত্যার মধ্যে দিয়ে পাকিস্তানপন্থী আর তাদের সাম্প্রদায়িক
মৌলবাদী সহযোগীদের প্রতিক্রিয়াশীল সামরিক-বেসামরিক চক্রের অপউদ্দেশ্যের ষোলকলা পূর্ণ
হয়।
বুদ্ধিজীবীদের
হারিয়ে এ জাতি হোঁচট খেয়েছে বারংবার। স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় জাতির
জনককে হত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশের গতিপথকেই পাল্টে
দেওয়া হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতা হত্যার পর অচলায়তনের
পাষাণবেদীতে ক্ষত বিক্ষত হয়েছে এ বাংলাদেশ, দেশের সংবিধান। দেশকে অসাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধের
চেতনার বিপরীতে নিয়ে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বীজ বুনেছে শকুনেরা। চেতনার দিক থেকে পাকিস্তানের
কাছাকাছি ফিরিয়ে আনার কাজটি করেছেন অনেক রাজনৈতিক নেতাই, দীর্ঘসময় থেকেছে মিলিটারি
শাসন।
আর
এসব কিছু সম্ভব হয়েছে প্রগতির পক্ষে কাজ করা জাতির সূর্যসন্তানদের হারানোর ফলেই। বুদ্ধিজীবীদের
অগ্রণী ভূমিকার কারণে যেখানে ৪৭ থেকে ৭১ পর্যন্ত স্বাধীকার ও মুক্তির চেতনা গণচেতনায়
রূপ নিয়েছে সেখানে মাত্র এক দশকের ব্যবধানে এতো অধঃপতন কেনো হয়েছিলো এ জাতির!
কিন্তু
তারপরও তাদের শেষরক্ষা হয়নি। আশির দশকের শুরুতে সেনাবাহিনীতে এক পাল্টা অভ্যুত্থানে
নিহত হলো প্রচ্ছন্ন পাকপন্থী সামরিক শাসক জিয়উর রহমান। দীর্ঘ ছয়বছর বিদেশে নির্বাসিত
জীবনশেষে দেশে ফিরে এলেন বঙ্গবন্ধু পরিবারের দুই জীবিত সদস্যের অন্যতম, তাঁর জ্যেষ্ট
কন্যা শেখ হাসিনা। ক্ষমতায় এলো আরেক সামরিক স্বৈরশাসক, বাংলার ইতিহাসে পাকিস্তানের
লেজুড় ধরা ভাঁড় চরিত্র লেজেহোমো এরশাদ।
কিন্তু
মাটির মেয়ে শেখ হাসিনা ততদিনে অগ্নিকন্যায় রূপান্তরিত হয়েছেন। তাঁর রক্তে মহান নেতা
শেখ মুজিবের উত্তরাধিকার তাঁকে দিনে দিনে পরিণত করেছিলো এক পূর্ণ পরিণত জননেত্রীতে।
তিনিই আবার দেশকে ফিরিয়ে এনেছেন বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও উন্নয়নমুখী মূলধারায়। তিনি একাত্তরের
১৪ ডিসেম্বর ও পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের খুনিদের বিচারের আওতায় আনলেন এবং তাদের অনেকের
দণ্ডাদেশ কার্যকর করলেন, জিয়ার ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিলের মাধ্যমে। বঙ্গবন্ধুর সোনার
বাংলার স্বপ্ন বাস্তবায়নে বর্তমানে জোর কদমে এগিয়ে চলেছে শেখ হাসিনার সরকার।
কিন্তু
তারপরও কিন্তু পুরোনো ঘূনপোকাগুলো এখনো ভেতরে ভেতরে কেটে চলেছে অসাম্প্রদায়িক, বাঙালি
জাতীয়বাদী, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চেতনা ও ঐতিহ্যের কারুকার্যখচিত পালঙ্কটিকে। একাত্তরে
বাঙালিকে মেধাশূন্য করে পঙ্গু জাতিতে পরিণত করার ন্যাক্কারজনক চক্রান্ত যারা করেছিলো,
তাদের উত্তরসূরিরা এখনো এ সমাজে। বর্তমান প্রজন্মকে বিপথে পরিচালিত করার জন্য চুপিসাড়ে
তারা এখনো কাজ করে যাচ্ছে। কাজ করে যাচ্ছে একটি ভ্রান্ত প্রজন্ম তৈরি করতে, যে প্রজন্ম
মুক্তিযুদ্ধের ভুল ইতিহাস নিয়ে বেড়ে উঠবে।
তাই
আজ শিক্ষার এতো বিস্তার ঘটার পরেও মননে চিন্তায় পরিলক্ষিত হয় এক অদ্ভুত বৈপরীত্য। মনে
জিজ্ঞাসা জাগে, শহিদ বুদ্ধিজীবীরা চেতনার যে ধারা তৈরি করেছিলেন, শহিদ জাতির পিতা
যে ধারায় এগিয়ে চলার পথ রচনা করেছিলেন, বাংলাদেশের মানুষ আজ কি তার ধারাবাহিকতায় অবিচলিত
আছে? আমরা কি জনসাধারণের কাছে সঠিক বার্তাটা পৌঁছে দিতে পারছি?
এই
প্রশ্নগুলোর উত্তর যদি নিজেরা খুঁজি তবেই সমাধান সম্ভব।
অন্যথায়
শুধু কাগজে কলমে জাতি শিক্ষিত হলেও মননে অন্ধকারেই থেকে যাবে জাতি। আমাদের মনে রাখতে
হবে, বুদ্ধিজীবীরা সবসময়ই বিদ্যমান ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করে বদল ঘটাতে চায়। তাদের
উপস্থিতি আর অনুপস্থিতির তফাৎ সমাজের বিদ্যমান
কাঠামোকে পরিবর্তন করে দেয়। যেমন ফরাসি বিপ্লবের আগে রুশো, ভরত্যের, দিদেরো প্রমুখ
বুদ্ধিজীবীদের হাত ধরেই সৃষ্টি হয়েছিলো সে দেশের গণমানুষের মৌলিক জাগরণ, যা তাদের ঐতিহাসিক
বিপ্লবের পথে চালিত করেছিল। সেদিনকার পূর্ব পাকিস্তান বা বাংলাদেশের বেলাতেও তেমনটাই
ঘটেছিলো। মুনীর চৌধুরী, শহিদুল্লাহ্ কায়ংসার, জহির রায়হান, আলতাফ মাহমুদ প্রমুখ বুদ্ধিজীবীদের
তুলে ধরা মশালের আলোয় বাঙালি জাতি স্বাধীনতার পথ খুঁজে নিয়েছিলো। এ বিষয়টা উপলব্ধি
করতে পারলেই বুদ্ধিজীবীদের হারানোর মাধ্যমে এ জাতি কি হারিয়েছে তা উপলব্ধি করতে সক্ষম
হবে।
এজন্যে
১৪ ডিসেম্বরকে শুধু ‘একদিনের স্মরণসভা’-য় ব্র্যাকেটবন্দী না করে আগামী
প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস জানাতে চলুন সবাই কাজ করি।
১৪ ও ১৬ ডিসেম্বর, ১৫ আগস্ট, ৩ নভেম্বর প্রভৃতি তারিখকে শুধু দিবস পালনের মধ্যে আবদ্ধ না রেখে আগামী প্রজন্ম যেন সঠিক ইতিহাস জানার মাধ্যমে এসব দিনের শহিদ মহামানবদের চেতনার ধারা বহন করে বেড়ে ওঠে, সে চেষ্টা আমাদের অব্যাহত শুধু নয়, জোরদার করতে হবে। নইলে অতীতের মতো আবার বা ‘বার বার ঘুঘু খেয়ে যাবে ধান’। জাতির আত্মপ্রতিষ্ঠার যূপকাষ্ঠে আত্মবলিদানকারী শ্রেষ্ঠ সন্তানেরা যে মৌল চেতনার ভিত্তিতে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের জন্ম দিয়েছে, যেকোনো মূল্যে তা অক্ষুণ্ণ রাখাই হোক এবারের ও প্রতিবারের শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও বিজয় দিবসের অঙ্গীকার।