ওরা নির্বাচন
চায় না নির্বাচন প্রক্রিয়াকে লঙ্ঘন করতে চায়। তারা চায় দেশে একটি বিশৃঙ্খলা তৈরি করে
দেশটিকে বিশ্ব বেনিয়াদের হাতে তুলে দিতে। তাদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে। জীবন
দিয়ে হলেও বিশ্ব বেনিয়াদেরকে এ দেশ দখল করতে দিতে পারি না। নির্বাচনের বাকি আর কয়েকমাস।
আগামী নির্বাচনে বিজয় ছিনিয়ে না আনা পর্যন্ত আমরা রাজপথে আছি রাজপথেই থাকব। নেতা-কর্মীদের
অনুরোধ জানাব ঐক্যবদ্ধভাবে পাড়ায় মহল্লায়, গ্রামে-গঞ্জে, ওয়ার্ড-ইউনিটে বিএনপি’র আগুন-সন্ত্রাসীদের
প্রতিহত করতে।
৩০ জুলাই চট্টগ্রাম
নগরীর কোতোয়ালীতে দোস্ত বিল্ডিং চত্বরে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে
বিএনপি’র অগ্নিসন্ত্রাস
নৈরাজ্য সৃষ্টি ও সহিংসতার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিক্ষোভ
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এসব কথা
বলেন।
সমাবেশে উত্তর
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম.এ. সালাম’র সভাপতিত্বে
সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম চিশ্তি, সহ-সভাপতি জসীম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক
শেখ আতাউর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ পাল, মহিলা আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক
এডভোকেট বাসন্তী প্রভা পালিত বক্তৃতা করেন। এসময় অন্যান্য নেতা-কর্মীসহ অসংখ্য সাধারণ
জনগণ উপস্থিত ছিলেন।
তথ্য ও সম্প্রচার
মন্ত্রী বলেন, সরকারি দল হিসেবে আমাদের দায়িত্ব জনগণের পাশে থাকা ও তাদের জান ও মালের
কোন ধরনের ক্ষতি না হয় সেটি নিশ্চিত করা। কিন্তু বিএনপি শান্তি সমাবেশের নামে অশান্তি
করেছে। পুলিশের উপর আক্রমণ চালিয়েছে ও গাড়িতে আগুন দিয়েছে। ঠিক যেমন ২০১৫ সালে তারা
আক্রমণ চালিয়েছিল আবারও সে পরিস্থিতি তৈরি করার পায়তারা করছে।
তিনি আরো বলেন,
আপনারা দেখেছেন বিএনপি নেতৃ নিপুন রায়ের বক্তব্য। ঐ বক্তব্যে তিনি বলেছেন আগুন দেয়ার
কথা যার অডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এছাড়াও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান
ফোন করে নির্দেশ দিচ্ছে গাড়িতে আগুন দেয়ার জন্য ভাংচুর করার জন্য। সে প্রমাণ আমাদের
হাতে আছে। এটি কোন রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি হতে পারে না। এবং বিএনপি যে একটি সন্ত্রাসীদল
তারা গতকাল সেটি আবারও প্রমাণ করেছে।
প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
- মা.ফা.