পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, দেশের রাজনৈতিক দিক থেকে শুরু করে শিক্ষা, চিকিৎসা, অর্থনৈতিক,
ব্যবসা-বাণিজ্য সবদিক দিয়ে নারীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। আমাদের রপ্তানী বাণিজ্যের আশি
ভাগ হচ্ছে গার্মেন্টস শিল্প। এ গার্মেন্টস শিল্পে আশি ভাগ কর্মীই হচ্ছে নারী। বর্তমান
সরকার নারীর ক্ষমতায়নের উপর জোড় দিয়েছে, ফলে দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। নারীরা স্বাবলম্বী
হলে দেশের জিডিপি উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারবে।
২০ এপ্রিল শনিবার চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড মাঠে ১৪তম আন্তর্জাতিক নারী এসএমই বাণিজ্যমেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বানিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। আলোচনা সভা শেষে বেলুন উড়িয়ে প্রধান অতিথিসহ সকলে মিলে মেলার শুভ উদ্বোধন করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যেমন জাপানে ছোট ছোট উদ্যোক্তারা দেশের জিডিপি উন্নয়নে
অবদান রাখে, কিন্তু সে হিসাবে আমাদের দেশ অনেক পিছিয়ে রয়েছে। দেশের রপ্তানী শুধু একক
নির্ভর না হয়ে বহুমুখী রপ্তানীতে পরিণত করতে হবে। তাই আমি উইমেন্স চেম্বারকে আহ্বান
জানাব আমাদের দেশের প্রান্তিক এলাকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ের নারীদের ওয়ার্কশপের
মাধ্যমে ট্রেনিং-এর আওতায় এনে দক্ষ কারিগর হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে। যারা এসএমই উদ্যোক্তা
ও হ্যান্ডিক্রাপট্স বানায় এবং যারা ঘরে বসে পণ্য তৈরি করে তাদের পণ্যকে সাপ্লাই চেনের
সাথে যুক্ত করতে পারলে দেশের প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি পাবে।
উইমেন্স চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মনোয়ারা হাকিম আলী’র সভাপতিত্বে সংসদ সদস্য দিলোয়ারা ইউসুফ, শামীমা হারুন লুবনা, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম, জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান বেগম চেমন আরা তৈয়ব, ১৪তম আন্তর্জাতিক উইমেন্স চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির এসএমই এক্সপো চেয়ারম্যান আদিবা মোস্তফাসহ অসংখ্য ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ী ও নারী উদ্যোক্তা উপস্থিত ছিলেন।
- মা.ফা.