ব্যবসায়ীরা দেশের সেবক এবং দেশের কল্যাণে তাঁরা
ঝুঁকি নিয়েই কাজ করছেন। গুটিকয়েক ব্যবসায়ীর
কারণে যাতে ব্যবসায়ী সমাজের ইমেজ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, এ ব্যাপারে সকলের সহযোগিতা দরকার।
নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে
ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময়কালে দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি
মাহবুবুল আলম এ কথা বলেন। সোমবার, ১৬ মে সকালে নগরীর ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু
কনফারেন্স হলে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় চেম্বার সভাপতি বলেন, “ভোগ্যপণ্যের বাজার
বিশ্বব্যাপী বাড়ছে, যা কল্পনার অতীত। ইউক্রেন
যুদ্ধের কারণে টালমাটাল অবস্থা। আমরা চেয়েছি,
দেশে যে আমদানি হয়েছে, হচ্ছে, তা যেন নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ হয়। আমদানিকারক থেকে পাইকার কিনবে, তার কাছ থেকে খুচরা
বিক্রেতা কিনবে। “
তিনি বলেন, ইউক্রেন, রাশিয়া থেকে ডাল, গম জাতীয়
খাদ্যশস্য ৩০ শতাংশ আমদানি হয়। বিশ্ববাজারে দাম বাড়া সত্ত্বেও দেশের স্বার্থে ব্যবসায়ীরা
লোকসান দিয়ে হলেও আমদানি করছে। দেশবাসীকে,
জাতিকে তাঁরা সেবা দিচ্ছেন।
সাপ্লাই চেইন ঠিক রাখা, সব ব্যাংকে ডলারের একই
মূল্য রাখা, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার
মধ্যে রাখার উপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন জাতীয় ভোক্তা
অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ, চেম্বার পরিচালক
মো. অহীদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন, খাতুনগঞ্জ ট্রেড এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশনের সাধারণ
সম্পাদক ও চেম্বারের সাবেক পরিচালক ছৈয়দ ছগীর আহমদ, মহানগর দোকান মালিক সমিতির সভাপতি
সালামত আলী, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি সালেহ আহমেদ সুলেমান, এবং পাহাড়তলী বণিক সমিতি, কর্ণফুলী বাজার সমিতিন ও চাকতাই আড়ৎদার সমিতির প্রতিনিধিরা।
অন্যান্যদের মধ্যে চেম্বার পরিচালকবৃন্দ জহিরুল ইসলাম চৌধুরী আলমগীর, মো. ইফতেখার ফয়সাল, মোহাম্মদ আদনানুল ইসলাম ও মোহাম্মদ নাসিরুল আলম ফাহিম, আমদানিকারক, বিভিন্ন মার্কেট এসোসিয়েশন, দোকান মালিক সমিতি, উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ সভায় উপস্থিত ছিলেন। -- সূত্র বাসস