বিশ্বের দীর্ঘতম
অবিচ্ছিন্ন প্রাকৃতিক বালুময় সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে
বিভিন্ন প্লাস্টিক-বর্জ্য দিয়ে তৈরী করা হয়েছে প্লাস্টিক-দানব। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন
বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এবং জেলা প্রশাসন ও ট্যুরিস্ট পুলিশের
সহায়তায় কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সিগাল পয়েন্টের বালিয়াড়ীতে দৃশ্যমান ভয়ংকর
এই দানবটি।
প্রাকৃতিক
সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিনই হাজার হাজার পর্যটকের ভিড় জমছে প্রবালদ্বীপ
সেন্টমার্টিন ও কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে। পর্যটকদের ফেলে দেয়া নানান প্লাস্টিক-বর্জ্যের
কারণে ব্যাপকহারে বাড়ছে প্রাকৃতিক দূষণ, হুমকির মুখে পড়ছে সামুদ্রিক জীববৈচিত্র ও
মানবজীবন।
প্রায় দুইমাস ধরে
সেন্টমার্টিন দ্বীপ, টেকনাফ ও কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত থেকে সংগ্রহ করা হয় অন্তত ১
হাজার বস্তা প্লাস্টিক বর্জ্য। বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের আয়োজনে ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের একদল শিল্পী এসব বর্জ্যের কিছু অংশ দিয়ে
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে নির্মাণ করে এ প্লাস্টিক দানব।
টেকনাফের
প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে চালু হয়েছে অভিনব 'প্লাস্টিক
এক্সচেঞ্জ স্টোর'। যেখানে প্লাস্টিক-বর্জ্য হিসেবে ফেলে দেয়া খালি পাত্র, বোতল ও
পলিথিনের প্যাকেটের বিনিময়ে যে কেউ নিতে পারবেন চাল, ডাল, তেল, চিনি ও লবণসহ
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী।
১৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে প্লাস্টিক-বর্জ্যে নির্মিত এ দানবটি দেখতে ভিড় করে সৈকতে ঘুরতে আসা হাজার হাজার পর্যটক এবং আগামী ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সর্বসাধারণের প্রদর্শনের জন্য উন্মুক্ত থাকবে এ প্লাস্টিক দানব।
- অ.হো