ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মিরসরাইয়ে কাভার্ডভ্যান
চাপায় ঘটনাস্থলেই চারজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ২ জন। ১৪ সেপ্টেম্বর বুধবার রাত
সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সোনাপাহাড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাস্থল মহাসড়কের
চট্টগ্রামমুখী মস্তাননগর সোনাপাহাড় বিশ্বরোডের বাইপাশ এলাকায় একটি লং-ভেহিকেলকে পেছন
থেকে ধাক্কা দেয় জোনাকী পরিবহণের একটি বাস। দূর্ঘটনা দেখে সেখানে স্থানীয় লোকজন জড়ো
হয়ে দূর্ঘটনা কবলিতদের উদ্ধার করার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন জোরারগঞ্জ
হাইওয়ে থানার মোবাইল পার্টি। তারা দূর্ঘটনা কবলিত গাড়ীগুলোর মানুষদের উদ্ধারের ব্যবস্থা
করছিলেন। এসময় পেছন থেকে একটি কাভার্ড-ভ্যান এসে লং-ভেহিকেলের পেছনে ধাক্কা দেয়। এতে
ঘটনাস্থলে উদ্ধার করতে যাওয়া স্থানীয় বাসিন্দা এবং হাইওয়ে পুলিশ হতাহত হয়।
দূর্ঘটনায় নিহতরা হলেন- মিরসরাই উপজেলার
দুর্গাপুর ইউনিয়নের রায়পুর গ্রামের মো. হারুনের ছেলে মেহেদী হাসান (২২), মীরসরাই সদর
ইউনিয়নের গড়িয়াইশ গ্রামের শামসুদ্দীনের ছেলে সুমন (২৮) ও শেখ ফরিদ (৩০) এবং পূর্ব রায়পুর
এলাকার আবুল কাশেম (৫৪)। এদের মধ্যে সুমন ও শেখ ফরিদ দুইজন আপন সহোদর। তারা পেশায় সিএনজি
অটোরিক্সা চালক ছিলেন। আহতরা হলেন জোরারগঞ্জ হাইওয়ে থানা পুলিশের এএসআই মো. মোস্তফা
(৪৫), ও কনেস্টবল আব্দুল আউয়াল (৫০)। এদের মধ্য এএসআই মোস্তফার অবস্থা আশংকাজনক। তিনি
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জোরারগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
(ওসি) মো. আলমগীর হোসেন জানান, খবর পেয়ে হাইওয়ে থানার আরেকটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে হতাহতদের
উদ্ধার করে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিতসক ৪ জনকে মৃত ঘোষণা
করেন। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে
প্রেরণ করেন। এদিকে দূর্ঘটনাকবলিত গাড়ীগুলো উদ্ধার করে থানায় রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় পরবর্তী
আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
- নাছির উদ্দিন/মিরসরাই