পাঁচতলা ভবন থেকে পড়ে আত্নহত্যা করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের ছাত্র শ্রীকান্ত চন্দ্র দেব। শ্রীকান্ত হবিগঞ্জ সদর উপজেলার নৃপেন্দ্র চন্দ্র দেবের ছেলে।
এই অস্বাভিক মৃত্যুর বিষয়ে তার পরিবারের সদস্যরা জানান, শ্রীকান্ত চন্দ্র দেবের ছোট ভাই শিমুল চন্দ্র দেবের ৩১ আগস্ট বুধবার বিয়ে ছিল। কিন্তু শ্রীকান্তের মৃত্যুতে বিয়ে বাড়ির উৎসবমুখর পরিবেশ স্বজনদের কান্নায় ভারী হয়ে উঠেছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স তৃতীয় বর্ষে পড়ার সময় প্রায় ৫ বছর আগে চোখের সামনে বন্ধুকে খুন হতে দেখে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে শ্রীকান্ত এবং বছর খানেক আগে ছোট বোনের আত্মহত্যার ঘটনায় পুরোপুরি মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে যায়।
শ্রীকান্তের বড় ভাই স্কুলশিক্ষক সুজন চন্দ্র দেব বলেন, শ্রীকান্ত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স শেষ করে। মাস্টার্সে ভর্তি হলেও সেশনজট ও কয়েকটি দুর্ঘটনায় পড়াশোনা শেষ হয়নি তার। সে বেশ কিছু দিন ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছিল। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে তাদের বাসার ছাদে ছোট ভাইয়ের গায়ে হলুদ হয়েছিল। গায়ে হলুদ শেষে যে যার মতো করে বাসায় ফিরে যায়। কিন্তু শ্রীকান্ত ছাদে বসে মোবাইল ফোনে গেইম খেলছিল। সকালে শ্রীকান্তের নিথর দেহ বাড়ির নিচে পড়ে থাকতে দেখে সবাই। সঙ্গে সঙ্গে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার এসআই ওয়াহেদ গাজী হাসপাতালে গিয়ে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠান। বুধবার বিকেলে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।
এবিষয়ে এসআই ওয়াহেদ গাজী জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন তিনি। ছাদে শ্রীকান্ত চন্দ্র দেবের জুতা ছিল। সে মানসিকভাবে অসুস্থ ছিল এবং সে কয়েকবার নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ব্যাপারে থানায় জিডিও আছে।
- অ.হো