ঘূর্ণিঝড়
সিত্রাং উপকূলে বৃষ্টি ঝরিয়ে দুর্বল হয়ে গিয়ে স্থলনিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এতে দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৭ ও ৬ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে ফেলে, ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে
বলা হয়েছে।
বঙ্গোপসাগরে
সৃষ্ট এই ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগ গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় ভোলার কাছে বরিশাল ও চট্টগ্রাম
উপকূলে আঘাত হানে। মধ্যরাতে ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র উপকূল অতিক্রম করে।
আবহাওয়া
অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে বাতাসের
গতিবেগ ছিল সর্বাধিক, ঘণ্টায় ৭৪ কিলোমিটার। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে কুমিল্লায় ১, ভোলায় ২,
সিরাজগঞ্জে ২, এবং নড়াইল ও বরগুনায় ১ জন করে মোট ৯ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
সোমবার
মধ্যরাতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়টি স্থলনিম্নচাপ
আকারে ঢাকা–কুমিল্লা–ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় অবস্থান করছে, এবং রাতের
মধ্যেই ঘূর্ণিঝড়টি সিলেট হয়ে ভারতে প্রবেশ করবে।
ঘূর্ণিঝড়টি
উপকূল ছেড়ে এলেও এখনো উত্তর বঙ্গোপসাগরে বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্য রয়েছে বলে জানিয়েছে
আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ পরিস্থিতিতে মোংলা, পায়রা ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর এবং
কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক
সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া
অধিদপ্তর বলেছে, অমাবস্যা তিথি ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা
সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল,
লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং এসব জেলার অদূরবর্তী
দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৫ ফুটের বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে
প্লাবিত হতে পারে।
উত্তর
বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব ধরনের মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ
না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।