কক্সবাজার বিশ্বের অন্যতম প্রধান পর্যটন কেন্দ্র হয়ে উঠবে: প্রধানমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ২০২২ মে ১৯, ০৪:২৫ অপরাহ্ন

কক্সবাজারের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং জীববৈচিত্র্য অটুট রেখে এর সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করার জন্য কক্সবাজারে অপরিকল্পিত স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ করতে হবে। আমি সবাইকে বিশেষ করে কক্সবাজারবাসীকে অপরিকল্পিত স্থাপনা নির্মাণ না করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। কারণ কক্সবাজারকে বিশ্বের অন্যতম প্রধান পর্যটন কেন্দ্রে হিসেবে পরিণত করা হবে।  কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নব-নির্মিত পরিবেশ বান্ধব বহুতল ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

 

১৮ মে বুধবার কক্সবাজারের বীর মুক্তিযোদ্ধা মাঠে আয়োজিত গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি আরো বলেন, দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করার জন্য কক্সবাজারকে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার পাশা-পাশি কক্সবাজারের আশপাশের উন্নয়ন পরিকল্পনা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একটি মাস্টার প্ল্যান তৈরি করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এই বিশাল সমুদ্রসীমায় পর্যটনের ক্ষেত্র প্রসারিত করার মাধ্যমে এই জায়গাটাকে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের চোখে আকর্ষণীয় করার উদ্যোগ আমরা নিতে যাচ্ছি। অন্যদিকে যেহেতু কক্সবাজার আন্তর্জাতিক এয়ার রুটে পড়ে, তাই কক্সবাজার বিমানবন্দরকে একটি আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দর হিসেবে প্রতিষ্ঠায় সরকারের কাজ চলমান রয়েছে। এই বিমানবন্দর যখন সম্পূর্ণ হবে তখন পশ্চিমা দেশগুলো থেকে প্রাচ্যে যাতায়াতকারী বিমানগুলো কক্সবাজার থেকে রিফুয়েলিং করার মাধ্যমে এটি রিফুয়েলিং কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

 

কক্সবাজারের উন্নয়নকে কেন্দ্র করে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর এবং উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে উঠুক সেটাই আমাদের লক্ষ্য। যেমন কক্সবাজারে ক্রিকেট স্টেডিয়াম করা হয়েছে। এখানে ফুটবল স্টেডিয়াম করার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক খেলাধুলা আয়োজনের সবধরনের ব্যবস্থা থাকবে।‌ কক্সবাজার থেকে মেরিন ড্রাইভ যেটি টেকনাফ পর্যন্ত করা হয়েছে সেটা একেবারে চট্টগ্রাম পর্যন্ত করা হবে। কক্সবাজারে অনেকগুলো উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে সরকার। এরমধ্যে মহেশখালী, কুতুবদিয়া, সোনাদিয়া শাহপরীর দ্বীপ, সেন্ট মার্টিন সহ বিভিন্ন দ্বীপাঞ্চলের উন্নয়ন উল্লেখযোগ্য। মহেশখালীতে গভীর সমুদ্র বন্দর তৈরি হওয়ার পাশাপাশি বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপিত হচ্ছে এবং বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে ওঠায় বিনিয়োগ হচ্ছে। মহেশখালীকে ‘ডিজিটাল আইল্যান্ড’ হিসেবেও ঘোষণা দেয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এই মহেশখালীর উন্নয়ন দেশীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে বিস্ময়ের সৃষ্টি করবে। 

 

অতীতে জাতির পিতার সঙ্গে কক্সবাজার সফরকালে যোগাযোগ ব্যবস্থার দুরাবস্থার কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, কক্সবাজারবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি বিবেচনায় দোহাজারি থেকে গুনধুম পর্যন্ত রেললাইন এবং চমৎকার একটি রেলস্টেশন নির্মাণের কাজও এগিয়ে চলেছে।  ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ের ন্যায় কক্সবাজার অবধি হাইওয়ের কাজও চলছে। পাশাপাশি সিলেট থেকে কক্সবাজার সরাসরি বিমান চলাচল চালু হয়েছে।  পর্যায়ক্রমে আমাদের অন্যান্য অঞ্চল যেমন বরিশাল, রাজশাহী এবং সৈয়দপুরসহ যতগুলো বিমানবন্দর রয়েছে সেখান থেকে কক্সবাজারের সঙ্গে সরাসরি বিমান চলাচলের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কতৃর্পক্ষকে ইতোমধ্যেই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কক্সবাজারে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের অনুমোদন সরকার দিয়েছে এবং একটি মেডিক্যাল কলেজ তৈরি করা হয়েছে। এখানে উন্নতমানের কনভেনশন সেন্টারও স্থাপন করা হবে, যাতে যেকোন ধরনের সেমিনার-সিম্পোজিয়াম সেখানে আয়োজনের পাশাপাশি পর্যটকদের জন্যও আকর্ষণীয় হয়।


- মা ফা/ জা হো ম


প্রধান সম্পাদক : জ্যোতির্ময় নন্দী
প্রধান নির্বাহী :  জামাল হোসাইন মনজু

ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :   অভ্র হোসাইন 

প্রকাশক ও চেয়ারম্যান : অর্ক হোসাইন

 

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয় :

এপিক ইত্তেহাদ পয়েন্ট [লেভেল-৪]

৬১৮ নুর আহমদ রোড

চট্টগ্রাম-৪০০০।

Newsroom :

Phone : 01700 776620, 0241 360833
E-mail : faguntelevision@gmail.com

© ২০২২ Fagun.TV । ফাগুন টেলিভিশন কর্তৃক সর্বসত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed by Smart Framework