‘একটি দারিদ্রমুক্ত
সমাজ যেখানে সবার মৌলিক চাহিদা ও অধিকার নিশ্চিত হবে’ এই লক্ষ্যকে
সামনে রেখে অসংখ্য উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে ৩৯ বছর অতিক্রম করেছে স্থায়ীত্বশীল
উন্নয়নের জন্য সংগঠন ইপসা।
২০ মে সোমবার
সকালে এ উপলক্ষ্যে চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও আবাসিক এলাকায় অবস্থিত ইপসার প্রধান কার্যালয়ের
সামনে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ইপসার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়। অনুষ্ঠানে
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইপসার প্রতিষ্ঠাতা প্রধান নির্বাহী মো. আরিফুর রহমান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন ইপসা সাধারণ পরিষদের সদস্য ড. শামসুন্নাহার চৌধুরী লোপা, পরিচালক
পলাশ চৌধুরী, পরিচালক নাছিম বানু প্রমুখ।
ইপসার প্রকল্প
ব্যবস্থাপক ফারহানা ইদ্রিসের সঞ্চালনায় দলগতভাবে জাতীয় সংগীত গাওয়ার মধ্য দিয়ে শুরু
হয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠান। এসময় ইপসার প্রতিষ্ঠাতা প্রধান নির্বাহী মো. আরিফুর
রহমান বলেন, ইপসা বিগত ৩৯ বছরে সরকারি, বেসরকারি ও অসংখ্য আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথে
সমন্বয়ের মাধ্যমে অগণিত উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। সকল প্রতিবন্ধকতা পার করে
সততা, নিষ্ঠা ও মূল্যবোধ এই তিনকে ধারণ করেই ইপসা ভবিষ্যতেও তার উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন
করে যাবে।
উল্লেখ্য, জাতিসংঘ
ঘোষিত আন্তর্জাতিক যুব বর্ষ উদযাপনে ১৯৮৫ সালের ২০ শে মে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কিছু
উদ্যমী যুবসংগঠক সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজ করার জন্য ‘ইয়ং পাওয়ার’ নামে একটি যুব
সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৯১ সালের ২৯ শে এপ্রিলের প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস
পরবর্তিতে ইয়ং পাওয়ার-এর যুব সংগঠকবৃন্দ জরুরী ত্রাণ সরবরাহ ও পুনর্বাসন কাজে সক্রিয়ভাবে
সম্পৃক্ত হয়। পরবর্তীতে ১৯৯২ সালে ‘ইয়ং পাওয়ার’ যুব সংগঠনটিই
ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল এ্যাকশন (ইপসা) নামে রূপান্তরিত হয়ে একটি বেসরকারী, অরাজনৈতিক,
অলাভজনক সমাজ উন্নয়ন সংগঠন হিসেবে কার্যক্রম শুরু করে।
বর্তমানে ইপসা
স্বাস্থ্য, শিক্ষা, অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন, মানবাধিকার ও সুশাসন, জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ
ব্যবস্থাপনা এই ৬টি থিমে বাংলাদেশের প্রায় ১ কোটি মানুষের জন্য প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে
বিরামহীনভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন সংগঠনের সর্বস্তরের কর্মচারীবৃন্দ।
- মা.ফা.