চট্টগ্রাম নগরীর
জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ মাঠে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের জানাজায় লাখো মানুষের ঢল নামে।
সেখানে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় অংশ নিতে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী
ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ এবং নাগরিক কমিটির সদস্য ও জুলাই শহীদ স্মৃতি
ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম।
এর আগে সকাল ১০টায়
শহীদ সাইফুল ইসলাম আরিফের মরদেহ আদালত প্রাঙ্গণে নিয়ে আসা হলে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে
অনেক আইনজীবী এবং কান্নায় ভেঙে পড়ে তার অনেক সহকর্মী। তার কর্মস্থল চট্টগ্রাম কোর্ট
বিল্ডিং চত্বরে শহীদ সাইফুল ইসলাম আরিফের প্রথম নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে
আইনজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অংশ নেন। জানাজার আগে আইনজীবী নেতারা বক্তব্য
দেন এবং সাইফুল হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
যোহরের নামাজের
পর তার তৃতীয় দফা জানাযা অনুষ্ঠিত হয় নগরীর নিউমার্কেট এলাকায়। এরপর চতুর্থ দফা জানাজা
শেষে তাকে দাফন করা হয় তার গ্রামের বাড়ি ফারেঙ্গা, চুনতি, লোহাগাড়ায়।
উল্লেখ্য, অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি এলাকার বাসিন্দা। তার বাবার নাম জালাল উদ্দিন। ২০১৮ সালে তিনি জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য হন এবং পরে হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে নিবন্ধন পান। অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ গত ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রামে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিতে আন্দোলনকারীদের হামলায় নিহত হন। সাইফুল ইসলামের হত্যার সঙ্গে জড়িত পাঁচজনসহ অন্তত ২০ জনকে আটক করেছে কোতোয়ালী থানা পুলিশ।
- মা.ফা.