তীর্থ দর্শন মনকে
উদার ও পবিত্র করে। দেশ ভ্রমনের মাধ্যমে অভিজ্ঞতার ভাণ্ডার পূর্ণ হয়। দীর্ঘ তীর্থযাত্রায় বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠি ও সমাজ-সভ্যতা-সংস্কৃতির
সাথে পরিচয় ঘটে। শুধু পূণ্য লাভ নয় তীর্থ ভ্রমনের ফলে চিত্তও প্রসারিত হয়। চসিকের পুরাতন
নগর ভবন মিলনায়তনে সনাতন তীর্থযাত্রীদের সাথে মতবিনিময় সভায় একথা বলেন চসিক মেয়র এম
রেজাউল করিম চৌধুরী।
১৩ নভেম্বর রবিবার
সকালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পুরাতন নগর ভবনের কেবি আবদুস ছাত্তার মিলনায়তনে
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন তীর্থদর্শন পরিচালনা পরিষদের উদ্যোগে সনাতন সম্প্রদায় ও তীর্থযাত্রীদের
সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
মেয়র আরো বলেন,
ধর্ম মানুষের মনুষ্যত্ব বিকাশে সহায়ক ভূমিকা প্রালন করে। তিনি অন্য ধর্মের প্রতি সম্মান
দেখিয়ে ভ্রাতৃত্ব বন্ধন অটুট রেখে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায়
সকলের প্রতি আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানের তীর্থ যাত্রীদের ভ্রমন-ব্যাগ ও অন্যান্য সামগ্রী
প্রদান করা হয়।
চসিকের তীর্থদর্শন
পরিচালনা পরিষদের আহবায়ক পাথরঘাটা ওয়ার্ড কাউন্সিলর পুলক খাস্তগীরের সভাপতিত্বে ও কানুলাল
নাথের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন প্যানেল-মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন, কাউন্সিলর আবদুস
সালাম মাসুম, জহর লাল হাজারী, সংরক্ষিত কাউন্সিলর নীলু নাগ, রুমকী সেন গুপ্ত, চসিক
স্পেশাল ম্যাজিষ্ট্রেট মনীষা মহাজন, প্রকৌশলী প্রবীর কুমার সেন, অরুন চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা
পিনাকী দাশ, পরিষদের সদস্য সচিব পরিতোষ বিশ্বাস। এতে উপস্থিত ছিলেন চসিক তত্ত্বাবধায়ক
প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশ, নিবার্হী প্রকৌশলী বিপ্লব দাশ, ডা. সুবল আচার্য্য, প্রবীর
আচার্য্য, যুগ্ন সদস্য সচিব রতন চৌধুরী, বলরাম দাশ প্রমুখ।
উল্লেখ্য যে, ১৮ নভেম্বর বেলা ৩টায় তীর্থযাত্রীগণ চসিক পুরাতন নগর ভবন চত্বর থেকে ভারতের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম ত্যাগ করবেন। তারা ভারতে গয়ায় পিন্ডদান, হরীদ্বার গঙ্গা আবাহন, বেনারস, কাশি, রাজা হরিশচন্দ্র শ্মশান ঘাট, অমুতসর স্বর্ণমন্দির, পাঞ্জাব ওয়াগা বর্ডার, মায়াপুর মন্দির, মথুরা, বৃন্দাবন, দিল্লীর কালিবাড়ী, চন্ডী মন্দির, মনসা মন্দিরসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান, মঠ, মন্দির পরিদর্শন করবেন।
- মা.সো