শেষ হলো পাঁচ দিনব্যাপী ৭ম বিভাগীয় যুব রেডক্রিসেন্ট ক্যাম্প

বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেমন তাঁর পিতার লালিত স্বপ্নকে বুকে ধারণ করে বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তোমরাও ঠিক তেমনি জাতির পিতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নকে বুকে ধারণ করে দেশকে শান্তির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। তোমরাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশের নৌকার সহযাত্রী। ৭ম চট্টগ্রাম বিভাগীয় যুব রেড ক্রিসেন্ট ক্যাম্পের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী।

৩ মার্চ চট্টগ্রাম শারীরিক শিক্ষা কলেজে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভূমিমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশে রেড ক্রিসেন্ট দীর্ঘসময় ধরে কাজ করছে। যে কোন জাতীয় বিপর্যয়ে রেড ক্রিসেন্ট ফ্রন্ট লাইনার যোদ্ধা হিসেবে কাজ করে। তোমাদের পাঁচদিন ব্যাপী এই ক্যাম্প স্মৃতিমধুর হয়ে থাকবে। তোমাদের এই অভিজ্ঞাতা ছোট ভাই বোনদের মাঝে ছড়িয়ে দিলে তারাও রেড ক্রিসেন্টের ক্যাম্পিং করতে উৎসাহিত হবে। একটা কথা মাথায় রাখবে এ দেশ স্বাধীনতার অর্জন করেছে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে। স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি ছাড়া কারো সাথে আপোষ করবে না। যদি আপোষ করো তাহলে এক সাগর রক্তের সাথে বেইমানী করা হবে।

বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ট্টেজারার এমএ ছালামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংসদ এমএ লতিফ, চট্টগ্রাম জেলা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের ও চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, সোসাইটির ভাইস চেয়ারম্যান মো. নুর-উর রহমান। এছাড়াও সম্মানিত অতিথি সোসাইটির ব্যবস্থাপনা পরিষদ সদস্য রিজিয়া সুলতানা লুনা, জেলা রেড ক্রিসেন্টের ভাইস চেয়ারম্যান ডা. শেখ শফিউল আজম, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মহাসচিব কাজী শফিকুল আযম, সিটি রেড ক্রিসেন্টের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আলমগীর পারভেজ, জেলা রেড ক্রিসেন্টের সেক্রেটারী মো. আসলাম খান, সিটি রেড ক্রিসেন্টের সেক্রেটারী আবদুল জব্বার, চট্টগ্রামের যুব প্রধান গাজী মো. ইফতেকার হোসেন ইমুসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

‘যুব নেতৃত্বের প্রসার, সবুজ বিশ্বের অঙ্গীকার’ এ প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি চট্টগ্রাম জেলা ও সিটি ইউনিটের সহযোগিতায় যুব রেড ক্রিসেন্ট, চট্টগ্রামের আয়োজনে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয় ৭ম বিভাগীয় যুব রেড ক্রিসেন্ট ক্যাম্প ২০২৩। 

এতে চট্টগ্রাম জেলার ১৫টি উপজেলা, সিটি কর্পোরেশন এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ সারাদেশের ৬৮টি ইউনিট থেকে ১ হাজার ৪৫০ জন যুব স্বেচ্ছাসেবক এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকরা অংশগ্রহণ করে।

- মা.ফা.