চট্টগ্রাম জেলার
সৎ, দক্ষ, সাহসী ও উন্নয়নমুখী জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. মমিনুর রহমানের বিরুদ্ধে স্বার্থান্বেষী
মহলের চক্রান্ত, অপপ্রচারসহ ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে মানববন্ধন
সমাবেশ, প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল শনিবার সকালে
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলা ইউনিট কমান্ডের উদ্যোগে আয়োজিত
এই সমাবেশের পর প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেন মুক্তিযোদ্ধারা।
সমাবেশে বক্তারা
বলেন, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান সন্ত্রাসি, ভূমিদস্যু, পাহাড়খেকো, দখলবাজ,
আইন অমান্যকারী, দুর্নীতিবাজ ও অপশক্তির আতংক। ডিসি হিসেবে তিনি চট্টগ্রামে যোগদানের
পর থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড গতিশীল ও দৃশ্যমান
করতে সততা, দক্ষতা ও সাহসিকতার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি চট্টগ্রাম দরদী ও সর্বস্তরের
মুক্তিযোদ্ধার অকৃত্রিম বন্ধু। ভূমিদস্যু পাহাড়খেকো ও লুটেরার দল চট্টগ্রামের উন্নয়ন
বাধাগ্রস্ত করতে যোগ্য জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।
স্বার্থান্বেষী কুচক্রীমহল জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও অপপ্রপ্রচার চালিয়ে
তাকে চট্টগ্রাম থেকে বদলীর পাঁয়তারা করছে।
বক্তারা আরো বলেন,
সাম্প্রতিক সময়ে ডিসি’র উদ্যোগে উত্তর কাট্টলী মৌজার
প্রায় ৩০ একর জায়গা নিয়ে গড়ে ওঠা অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ করা হয়। মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত
এ স্থানে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ ও জাদুঘর নির্মাণে ডিপিপি তৈরির কাজ চলছে। ডিসি’র নেতৃত্বে সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুরে
ভূমিদস্যু ও পাহাড়খেকোদের কবল থেকে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকার ৩ হাজার ১০০ একর সরকারি
খাসজমি উদ্ধার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। একইসাথে চট্টগ্রামের পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য
সংরক্ষণ করে এখানে কেন্দ্রীয় কারাগার স্থাপন ও নাইট সাফারি পার্কসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ
স্থাপনা তৈরি করতে মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের কাজ চলছে। চট্টগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা
পরীর পাহাড় থেকে দুশতাধিক অবৈধ স্থাপনা ও নগরীর বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ের পাদদেশের
৫৮৭টি অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করেন তিনি।
বক্তারা আরো বলেন,
সম্প্রতি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এক মোনাজাতকে কেন্দ্র করে মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে
জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর কারণে তাঁকে জেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং
কর্মকতা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। ঐদিন মোনাজাতে তিনি হাত তুলেছিলেন বটে, তবে একটি শব্দও
উচ্চারণ করেননি। এ ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত, অনভিপ্রেত এবং দুঃখজনক।
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা
সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদের সভাপতিত্বে, মহানগরীর
সহকারী কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র বিশ্বাস ও জেলার সহকারী কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা
এ কে এম আলাউদ্দিনের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এই প্রতিবাদ ও মানববন্ধন সমাবেশে সংহতি
প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের
সাধারণ সম্পাদক আ. জ. ম. নাছির উদ্দিন, জেলা ইউনিটের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা
এ. কে. এম. সরোয়ার কামাল দুলু, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ,
জেলা সংসদের প্রাক্তন কমান্ডার ও জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত সদস্য মুক্তিযোদ্ধা আবুল
কাশেম চিশতী, মহানগর ইউনিটের ডেপুটি কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল হক চৌধুরী সৈয়দ,
সহকারী কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা খোরশেদ আলম, জেলা ইউনিটের সহকারী কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা
আবদুর রাজ্জাক, মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা শেখ মাহমুদ ইসহাক, আন্তর্জাতিক
অপরাধ ট্রাইব্যুনালের অন্যতম সাক্ষী মুক্তিযোদ্ধা কাজী নুরুল আবছার, আকবর শাহ থানার
ডেপুটি কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা মো. নুর উদ্দিন, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা
খায়রুল বশর, সাতকানিয়া উপজেলা কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবু তাহের এলএমজি, মিরসরাই
উপজেলা কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা কবীর আহমেদ, চসিক কাউন্সিলর শাহীন আক্তার রোজী, মুক্তিযোদ্ধার
সন্তান কামরুল হুদা পাভেল, সাংবাদিক রণজিত কুমার শীল, বন্দর শ্রমিক নেত্রী নুরজাহান
বেগম প্রমুখ।
মানববন্ধন ও সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন: মহানগর ইউনিটের সহকারী কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা এফ. এফ. আকবর খান, সহকারী কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু, জেলা ইউনিটের সহকারী কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা মো. বোরহান উদ্দিন, সহকারী কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা নাছির উদ্দিন, সহকারী কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা একরামুল হক, সহকারী কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা আহমদ হোসেন, সহকারী কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা মোঃ হারুণ, যুদ্ধকালীন কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম, যুদ্ধকালীন কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা এম.এন ইসলাম, যুদ্ধকালীন কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা তপন কান্তি দাশ, বিএলএফ কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা অরুণ কান্তি দাশ, মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ব্যবসায়ী আবদুস সালাম, চট্টগ্রাম উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ নুরুল আলম, মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ শামসুদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা সৌরিন্দ্র নাথ সেন, মুক্তিযোদ্ধা কুতুব উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা আলী হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা আহমদ মিয়া, মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ইউসুফ, মুক্তিযোদ্ধা মো. সলিম উল্লাহ, মুক্তিযোদ্ধা হাজী জাফর আহমদ, মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আলম, মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, মুক্তিযোদ্ধা বন গোপাল দাশ, মুক্তিযোদ্ধা আহমদ ছফা, বীর মুক্তিযোদ্ধ মোঃ মহিউদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আলম, মুক্তিযোদ্ধা জাফর আলী হিরু, মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা দিলীপ দাশ, মুক্তিযোদ্ধা নীল রতন দাশগুপ্ত, মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক পংকজ দস্তিদার, মুক্তিযোদ্ধা জহুরুল ইসলাম সিদ্দিকী, মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আহমদ, মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল ইসলাম দুলু, মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সাদেকসহ চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগরের সকল মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যরা।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি