পৃথিবীর মুক্তিযুদ্ধ
ও মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে এত ত্যাগ, এত রক্তাঞ্জলি আর কোথাও নেই। ঘাতক অপশক্তি যাদের
বিরুদ্ধে আমরা যুদ্ধ করেছি, যাদের কোন সভ্যতা মর্যাদা ও সুস্থতা নেই। বর্বরতা, বিকৃতি,
পাশবিক দস্যুতা তাদের রক্তের প্রতিটি কণায় মিশে গিয়েছিল বলেই আমরা মধ্যযুগীয় অন্ধকারে
ডুবে গিয়েছিলাম এ থেকে পরিত্রাণ পেতে নিরস্ত্র বাঙালি সশস্ত্র হয়েছিল এবং হানাদারদের
আত্মসমর্পনে বাধ্য করে বিজয় ছিনিয়ে এনেছিল।
১৩ তারিখ মঙ্গলবার
বিকালে চট্টগ্রাম এম.এ আজিজ স্টেডিয়াম গোল চত্বরে বিজয় মঞ্চের চার দিনব্যাপী কার্যক্রম
সূচি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা চট্টগ্রাম
সিটি কর্পোরেশন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী্।
মুক্তিযুদ্ধের
বিজয় মেলা পরিষদের সাবেক মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা বদিউল আলমের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ
অতিথি সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় বলেন, মুক্তিযুদ্ধকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের
ডাকে পুলিশ বাহিনী প্রথম প্রহরে মুক্তিবাহিনীর সাথে একত্রিত হয়ে মুক্তিযুদ্ধে কৃতিত্বের
সাথে ভুমিকা রাখেন। ইতিহাসের পাতায় তা চিরদিন স্মরণীয় হয়ে থাকবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে
বুকে ধারন করে পুলিশ বাহিনী সবসময় মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।
অনুষ্ঠানে তুমুল
হর্ষধ্বনি ও স্লোগান মুখরিত এক আবেগ ঘন পরিবেশে কমোডর এ. ডব্লিউ চৌধুরী নতুন প্রজন্মের
উদ্দেশ্যে বলেন, হে নতুন তোমরা প্রস্তুত হও, তোমরাই আগামীর বাংলাদেশ। বিজয় শিখা প্রজ্জ্বলনের
সংক্ষিপ্ত আনুষ্ঠানিকতা শেষে উদ্বোধক, প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিসহ বিজয় মেলার কর্মকর্তাগণ
জাতীয় সংগীতের সূর মূর্চ্ছনায় জাতীয় ও মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার পতাকা উত্তোলন করেন।
এরপর বিজয় মঞ্চে শুরু হয় বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট চট্টগ্রাম মহানগর শাখার উদ্দীপনামূলক
সাংস্কৃতিক পরিবেশনা এবং শেষে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান।
বিজয় শিখা প্রজ্জ্বলন
মঞ্চের সামনে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আমজনতার এক আনন্দঘন আবেগ অনুভুতিমালায় জয় বাংলা স্লোগানের
মধ্যে দিয়ে উদ্বোধক ‘অপারেশন জ্যাকপট’ অধিনায়ক কমোডর
এ. ডব্লিউ চৌধুরী বীর উত্তম ও বীর বিক্রম এবং প্রধান অতিথি বীর মুক্তিযোদ্ধা চট্টগ্রাম
সিটি কর্পোরেশন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী এবং সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় বিজয় শিখা
প্রজ্জ্বলনের অগ্নিশলাকা মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার প্রতিষ্ঠাতা এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর
কনিষ্ঠ সন্তান বোরহানুল হাসান চৌধুরী সালেহীন ও বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী ইনামুল হক দানুর
সন্তান কাজী রাজেশ ইমরানের হাতে হস্তান্তর করলে তারা তা বিজয় শিখার টাওয়ারে স্পর্শ
করা মাত্রই বিজয় শিখা প্রজ্জ্বলিত হয়ে উঠে।
এ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুলীর সঞ্চালনায় মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের মহসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ, মহনগর আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হাসিনা মহিউদ্দীন, উপ পুলিশ কমিশনার (সদর) মো. আবদুল ওয়ারিশ, উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মো. মোস্তাফিজুর রহমান (পিপিএম বার), বীর মুক্তিযোদ্ধা পান্টুলাল সাহা, মহিউদ্দীন রাশেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান স্কোয়াডের আহবায়ক বোরহানুল হাসান চেীধুরী সালেহীন প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
- মা.ফা