গত ২৪ ঘন্টায় চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৮ জন। এনিয়ে সংক্রমণ হার দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ২০ শতাংশ। ২৪ ঘন্টায় করোনায় আক্রান্ত কোন রোগির মৃত্যু হয়নি। চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে দেয়া প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
১৪ অগাস্ট সিভিল সার্জন কার্যালয়ের দেওয়া তথ্য মতে, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি ও নগরীর ছয়টি ল্যাবে চট্টগ্রামের ১১১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নতুন ৮ জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। এতে শহরের বাসিন্দা ৬ জন ও দুই উপজেলার ২ জন রয়েছে।
জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ১ লক্ষ ২৮ হাজার ৬৬৮ জন। তার মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৯৩ হাজার ৭৮৮ জন ও গ্রামের ৩৪ হাজার ৮৮০ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে মিরসরাই ও হাটহাজারীতে একজন করে রয়েছেন। মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬৭ জন। এতে শহরের বাসিন্দা ৭৩৭ জন ও গ্রামের ৬৩০ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৯ টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের একটিতে করোনার জীবাণু থাকার প্রমাণ মেলে। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ২৬ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ২ জন ও গ্রামের ১ জন আক্রান্ত শনাক্ত হয়।
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৯ জনের নমুনার মধ্যে গ্রামের একজনের দেহে জীবাণুর অস্তিত্ব ধরা পড়ে। বেসরকারি এপিক হেলথ কেয়ারে ৩১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ৩ জনের দেহে সংক্রমণ চিহ্নিত হয়।
এছাড়া আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএলে ৩, ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে ১৯ ও মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ৪ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তিন ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষিত ২৬ নমুনার সবগুলারই নেগেটিভ রেজাল্ট আসে। এদিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি), ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল, ল্যাব এইড, এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ও এভারকেয়ার হাসপাতাল ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। নমুনা সংগ্রহের কোনো কেন্দ্রে এন্টিজেন টেস্ট হয়নি। কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবেও চট্টগ্রামের কোনো নমুনা যায়নি।
- অভ্র হোসাইন