জয়ের ধারা অব্যাহত রেখে স্বাগতিক
সংযুক্ত আরব আমিরাতকে হোয়াইটওয়াশ করার লক্ষ্য নিয়ে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে
আগামীকাল মঙ্গলবার মাঠে নামবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে
ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায়।
দুর্বল আমিরাতের বিপক্ষে গতকাল
রোববার রাতে প্রথম ম্যাচে বলতে গেলে বেগ পেয়েই জিততে হয়েছে বাংলাদেশকে। দলের পারফরমেন্স
মোটেই আশাব্যঞ্জক ছিলো না। তাই দ্বিতীয় ম্যাচে খেলার উন্নতি ঘটাতেও চান টাইগাররা।
গতকাল প্রথমে ব্যাট করতে নেমে
৫ উইকেটে ১৫৮ রান তোলে বাংলাদেশ। বাজে শুরুর পরও মোটামুটি লড়াকু পুঁজি পায় টাইগাররা।
আরব আমিরাত ইনিংসের শেষ পর্যন্ত আফজাল খান ক্রিজে থাকায়, কপালে চিন্তার ভাঁজ ছিলো বাংলাদেশের।
শেষ পর্যন্ত যথেষ্ট ঘাম ঝরিয়েই জিততে হয়েছে সফররত দলটিকে।
আমিরাতের ইনিংসে ১৭ ওভারের শেষে
স্কোর ছিল ৮ উইকেটে ১২৪ রান। তাতে সহজ জয় পাওয়ার সম্ভাবনা দেখছিলো বাংলাদেশ। কিন্তু
অষ্টম উইকেটে জুনায়েদ সিদ্দিকিকে নিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুড়িয়ে দেন সাত নম্বরে নামা আয়ান।
জুটিতে ২৪ তুলে বাংলাদেশকে চিন্তায় ফেলে দেন তাঁরা।
শেষ ওভারে আমিরাতের দরকার ছিল
১১ রানের । কিন্তু শেষ ওভারের তৃতীয় ও চতুর্থ বলে আয়ান-জুনায়েদকে বিদায় দিলে স্বস্তির
জয় পায় বাংলাদেশ। ইনিংসের ২ বল বাকি অবস্থায় ১৫১ রানে অল আউট হয়ে যায় আরব আমিরাত।
ম্যাচটি জিতলেও টাইগারদের খেলায়
কোন উন্নতি চোখে পড়েনি বললেই চলে। ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা অব্যাহত থাকলেও, নিজের ফর্ম
ধরে রেখেছেন একমাত্র আফিফ হোসেন। তাঁর অপরাজিত ৭৭ রানের সুবাদেই ১৫৮ রানের সংগ্রহ পায়
বাংলাদেশ। ফিল্ডিংয়ের সমস্যাটা ভলোভাবে আবারও
ফুটে ওঠে। ক্যাচ ড্রপ, ফিল্ডিং মিস বাংলাদেশের জন্য স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে
দাঁড়িয়েছে বললেই চলে।
অনেকদিন পর সিনিয়র খেলোয়াড় ছাড়াই
এমন একটি ম্যাচ খেলতে নামে বাংলাদেশ। তবে আফিফ হোসেন মনে করেন, সিনিয়রদের অনুপস্থিতি
কোনো প্রভাব ফেলবে না। কারণ দুর্বল প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলেছে বাংলাদেশ।
ম্যাচ শেষে আফিফ বলেন, “কিছু সিনিয়র খেলোয়াড় না থাকলেও, আমাদের ওপর কোন বাড়তি চাপ নেই। আমাদের সবসময়
সেরা একাদশই থাকে। আমি আশা করি পরের ম্যাচেও রান করতে পারবো আমি।”
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এ পর্যন্ত
দুবার আরব আমিরাতের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ এবং দুবারই জয় পেয়েছে। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত
টি-টোয়েন্টিতে ১৩৪টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে টাইগারদের জয় আছে ৪৬টিতে, হার
৮৫টিতে। তিনটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়।
সংযুক্ত আরব আমিরাত সফররত বাংলাদেশ
দল : নুরুল হাসান সোহান (অধিনায়ক), সাব্বির রহমান, মেহেদি হাসান মিরাজ, আফিফ হোসেন,
মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, লিটন দাস, ইয়াসির আলী রাব্বি, মুস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন,
তাসকিন আহমেদ, এবাদত হোসেন, হাসান মাহমুদ, নাজমুল হোসেন শান্ত, নাসুম আহমেদ, শরিফুল
ইসলাম, সৌম্য সরকার ও রিশাদ হোসেন।