বর্তমানে দেশে পর্যাপ্ত সারের মজুত রয়েছে, এবং সরকার-নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে কেউ সার বিক্রি করলে, সংশ্লিষ্টদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে।
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক
আজ রোববার সচিবালয়ে নিজ অফিস কক্ষে সাংবাদিকদের সাথে সাম্প্রতিক বিষয় নিয়ে মতবিনিময়কালে
এ কথা বলেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, চাহিদার বিপরীতে ইউরিয়া, টিএসপি, ডিএপি, এমওপিসহ
সব ধরণের সারের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। দেশের কোথাও যাতে কেউ কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে
না পারে, সে ব্যাপারে সরকার নিবিড়ভাবে মনিটর করছে। মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের এমন নির্দেশনা
দেয়া হয়েছে।
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির ফলে সারে কোনরকম প্রভাব পড়বে না বলে উল্লেখ
করে মন্ত্রী বলেন, কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হবে না, তবে কৃষিপণ্যের দাম কিছুটা বাড়বে। ‘মানুষের কষ্ট লাঘবে সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা করছে’ বলে জানিয়ে সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী
বলেন, আড়াই বছর ধরে চলমান কোভিড পরিস্থিতি এবং ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে চলমান যুদ্ধসহ
বৈশ্বিক নানা সংকটের কারণে খাদ্যপণ্য, সার, তেল দাম ও গ্যাসের দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি
পেয়েছে। দেশেও এর প্রভাব পড়েছে।
স্বল্প আয়ের, সীমিত আয়ের ও শ্রমজীবী সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘবে ১৫ টাকা
কেজিতে ৫০ লাখ পরিবারকে চাল দেয়া হবে বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, বিভিন্ন সামাজিক
নিরাপত্তা বেষ্টনি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
সার-খাদ্যশস্যের দাম কমার আশাবাদ ব্যক্ত করে মন্ত্রী বলেন, সার রপ্তানির
ক্ষেত্রে রাশিয়ার উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। অন্যদিকে, ইউক্রেন
থেকে শস্য রপ্তানি উন্মুক্ত হয়েছে। ইউক্রেন থেকে গম রপ্তানি শুরু হলে আন্তর্জাতিক বাজারে
গমের দাম কমতে পারে। এসবের প্রভাব দেশেও পড়বে, খাদ্যপণ্যের দাম কমবে।