চট্টগ্রাম বাংলাদেশের
অর্থনীতি প্রবাহের প্রাণকেন্দ্র। দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় মেট্রোরেল
প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শুরু করছে সরকার। চট্টগ্রামের কৃতি সন্তান তথ্য
ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি’র অনুরোধ ও
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে ঢাকার ন্যায়
চট্টগ্রামেও মেট্রোরেলের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শুরু করা হচ্ছে।
৩১ জানুয়ারি চট্টগ্রাম
নগরীর রেডিসন ব্লু হোটেলে চট্টগ্রামে মেট্রোরেলের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের উদ্বোধন
অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন সড়ক পরিবহন ও
সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সেতু মন্ত্রী আরো বলেন,
এ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫২ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ৪০ হাজার কোটি টাকা দেবে
জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সি (জাইকা) বাকি টাকা দেবে বাংলাদেশ সরকার।
প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে শহরের যানজট নিরসনে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে। এছাড়াও
দেশের উন্নয়ন কাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে জাইকার সহযোগিতায় চট্টগ্রাম কক্সবাজার সড়ক চার
লেইনে উন্নিত করণের কাজ চলছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির
বক্তব্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, পৃথিবী জুড়ে মন্দা চলছে
সে জন্য বাংলাদেশ সরকার অনেক প্রকল্পের কাজ স্থগিত রেখেছে আবার দেশের উন্নয়নের কথা
মাথায় রেখে বিশ্বমন্দার মাঝেও কিছু কিছু প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ চালু রেখেছে।
বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের জন্য কত আন্তরিক তা
চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কথা স্টাডি করলে অনুমান করা যায়। এ প্রকল্প
শেষ হলে চট্টগ্রাম শহরের মানুষ জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাবে বলে আশা প্রকাশ করেন
মন্ত্রী।
সড়ক পরিবহন ও সেতু
বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নূরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত
ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মেয়ের মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, সড়ক পরিবহন ও সেতু
মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান প্রিন্সিপাল রওশন আরা এমপি, শরিফা খান,
রিপাবলিক অব কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং-কিউন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ
চেয়ারম্যান এম. জহিরুল আলম দোভাষ, সাবিহা পারভীন প্রমূখ।
বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
- মা.ফা.