যুক্তরাজ্য সফররত প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা গতকাল রোববার রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। তিনি ওয়েস্টমিনস্টার
হলে শবাধারে সংরক্ষিত প্রয়াত রানিকে শ্রদ্ধা জানান এবং ল্যাঙ্কাস্টার হাউসে রক্ষিত শোকবইয়ে স্বাক্ষর করেন।
শেখ হাসিনা রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের
শেষকৃত্যে যোগ দিতে গত ১৫ সেপ্টেম্বর সরকারি সফরে লন্ডনে পৌঁছেন।
যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের
হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন, সকালে প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত
রানির প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে ওয়েস্টমিনস্টার প্যালেসে
যান। শেখ হাসিনা ওয়েস্টমিনস্টার প্যালেসের হলে শবাধারে সংরক্ষিত প্রয়াত রানি দ্বিতীয়
এলিজাবেথের প্রতি তাঁর শেষ শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।
এর আগে, ওয়েস্টমিনস্টারে পৌঁছালে
ব্রিটিশ স্পিকারের প্রতিনিধি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর ছোট বোনকে স্বাগত জানান।
পরে তাঁদের ল্যাঙ্কাস্টার হাউসে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে খোলা শোকবইয়ে বাংলায় শোকবার্তা
লেখেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “মহামান্যা রানির মৃত্যুতে আমি বাংলাদেশের
জনগণ, আমার পরিবার এবং আমার ছোট বোন শেখ রেহানার পক্ষ থেকে গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।”
ল্যাঙ্কাস্টার হাউসে
প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ভিকি ফোর্ড। সেখানে
প্রধানমন্ত্রী স্মরণ করেন যে, তিনি প্রয়াত রানির সঙ্গে আট বা নয়বার দেখা করেছিলেন এবং
রানি তাঁকে তাঁর স্বনামেই চিনতেন।
শেখ হাসিনা বলেন, “তিনি আমার কাছে একজন মাতৃতুল্য ব্যক্তিত্ব ছিলেন; আমি আমার মায়ের মতো একজনকে
হারিয়েছি। মনে হচ্ছে, একজন অভিভাবক চলে গেলেন।”
শেখ হাসিনা আরও বলেন, প্রয়াত রানি
ছিলেন একজন বিশ্ব অভিভাবকের মতো এবং তাঁর মৃত্যুতে এক শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশ
হাইকমিশনার বলেন,
শোক বইয়ে শেখ রেহানা, যিনি নিজেও
একজন ব্রিটিশ নাগরিক, লিখেছেন, “তিনি আমাদের
হৃদয়ের রানি এবং সবসময় তা-ই থাকবেন।”