তুরস্কের
দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের গাজিয়ানতেপে সিরিয় সীমান্তের কাছে স্থানীয় সময় ভোর সোয়া
চারটার দিকে শক্তিশালী ভূমিকম্পে প্রাথমিকভাবে ৫৩ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়।
৬ ফেব্রুয়ারি এএফপি’র
এক সংবাদে জানা যায় মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানায়, গত এক শতাব্দীর মধ্যে
এটি সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্পের একটি। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির তীব্রতা ছিল ৭
দশমিক ৮ ভাগ। গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে এর গভীরতা ছিল মাত্র ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটার
গভীরে।
ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে
অনেক সরকারি ভবন ধসে পড়েছে এবং ভেতরে অনেক লোক আটকা পড়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ভূম্পিকম্পটি রাজধানী আঙ্কারা এবং তুরস্কের অন্যান্য শহরেও অনুভূত হয়েছে। এছাড়া
সংশ্লিষ্ট পুরো অঞ্চল জুড়েই কম্পন অনুভূত হয়েছিল।
তুরস্কের
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেইমন সইলু বলেন, ভূমিকম্পে ১০টি শহর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এগুলো হচ্ছে গাজিয়ানতেপ, কাহরামানমারাস, হাতায়, ওসমানিয়ে, আদিয়ামান, মালাতিয়া,
সানলিউরফা, আদানা, দিয়ারবাকির এবং কিলিস।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট
রিসিপ তায়িফ এরদোগান ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন। তিনি
বলেছেন, আশা করি আমরা একসাথে যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব কম ক্ষতির মধ্য দিয়ে এ দুর্যোগ কাঠিয়ে
উঠতে পারবো।
এদিকে প্রতিবেশী দেশ
তুরস্ক থেকে উৎপন্ন শক্তিশালী ভূমিকম্পে সিরিয়ায় নিহত হয় ২৪৫ জন। সিরিয়ার স্বাস্থ্য
মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুদ্ধ বিধ্বস্ত সিরিয়ার সরকার নিয়ন্ত্রিত
এলাকায় ২৩০ জনেরও বেশি নিহত ও ছয়শ’ জনেরও বেশি আহত
হয়েছে। তুরস্কপন্থী দলগুলো দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এলাকায় আরো আটজন নিহত হয়েছে। এতে আরো
বলা হয়েছে ভূমিকম্পে আলেপ্পো, লাটাকিয়া, হামা ও টারটাসে ৬৩৯ জন আহত এবং ২৩৭ জন
নিহত হয়েছে।
সিরিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থা ‘সানা’ জানিয়েছে, পশ্চিমাঞ্চলীয় লাটাকিয়া উপকূল থেকে দামেস্ক পর্যন্ত কম্পন অনুভূত হয়েছে। সিরিয়ার ন্যাশনাল আর্থকোয়েক সেন্টারের প্রধান রায়েদ আহমেদ বলেছেন, এই কেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠার পর এতো ভয়াবহ ভূমিকম্প আর ঘটেনি।
- মা.ফা.