চট্টগ্রামে হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চ গঠনের দাবি দীর্ঘ দিনের। এটার প্রয়োজনীয়তাও রয়েছে। এ বিষয়ে আইনমন্ত্রীর সাথে কথা হয়েছে। আগামী দু’এক মাসের মধ্যে সার্কিট বেঞ্চ হবে চট্টগ্রামে। চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির কার্যকরি পরিষদের অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এ কথা বলেন।
১ সেপ্টেম্বর রাতে নগরীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত অভিষেক অনুষ্ঠানে আইনজীবী পরিবারের সন্তান ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আইনজীবীগণ সমাজের স্বাভাবিক নেতা। তারা সমাজ সংস্কারক। তারা সমাজকে নতুন পথ দেখায়। দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় আইনজীবীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। অতীতে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন, বাংলাদেশের স্বাধীকার আন্দোলনসহ ইতিহাস সৃষ্টিকারী সব আন্দোলন সংগ্রামে আইনজীবীরা নেতৃত্ব দিয়েছে। এখনো দিচ্ছে। আইনজীবীরা সমাজকে নতুন পথের দিশা দেয় বলে তিনি মন্তব্য করেন।
তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির ভবন বিষয়ে প্রশাসনের সাথে সৃষ্ট টানাপোড়েন আশা করি দ্রুত সমাধান হবে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হবে। তিনি বলেন, নতুন আইনজীবীসহ সকল আইনজীবীদের চেম্বারের স্থান সংকুলান কোর্ট হিলে হবে না। তাই আইনজীবী সমিতিকে জায়গা দেখতে বলেছি। সরকারি জায়গা হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে জায়গার ব্যবস্থা করা হবে। সেখানে নতুন ডিজাইনের আধুনিক সুযোগ সুবিধা সংবলিত প্রশস্থ চেম্বার করা যাবে। এক সময় কোর্ট হিলের নান্দনিকতা ছিলো। কিন্তু উঁচু ভবনের কারনে অতীতের নান্দনিকতা হারিয়ে গেছে। তা ফিরিয়ে আনতে হবে। এ ব্যাপারে আইনজীবী সমিতিকে কাজ করতে হবে।
আইনজীবী সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট আবু মোহাম্মদ হাশেমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান বক্তা ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী। এতে আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আজিজ আহমেদ ভূঁইয়া, মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুন্নেসা, চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রবিউল আলম, বার কাউন্সিল সদস্য এস.এম বদরুল আনোয়ার, সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট মমতাজ উদ্দিন ফকির, চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এ.এইচ.এম জিয়া উদ্দিন। অনুষ্ঠানে এটর্নী জেনারেল এ.এম আমিন উদ্দিন ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে সমিতির স্যুভেনিরের মোড়ক উম্মোচন করেন তথ্যমন্ত্রী।
- মা.ফা