‘মধু হইহই বিষ
খাওয়াইলা’ গান গেয়ে গেয়ে
এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার পর নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ প্রশাসন। অপরাধীদের চিহ্নিত করতে এবং
ধরতে এরই মধ্যে তৎপরতা চালাচ্ছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুকে ভিডিওটি সম্প্রতি ভাইরাল হলেও ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৪ আগস্ট। নিহত যুবক শাহাদাত
হোসেন নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি থানাধীন পাঁচবাড়ীয়ার নদনা গ্রামের মোহাম্মদ হারুনের
ছেলে। থাকতেন চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানার বিআরটিসি এলাকার বয়লার কলোনিতে, কাজ করতেন
একই এলাকার ফলমণ্ডিতে।
২০ সেকেণ্ডের
এই ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, নিস্তেজ হয়ে পড়া ঐ যুবকের দুই হাত দুই খুঁটির সাথে বেঁধে
রাখা হয়েছে। তাকে ঘিরে একদল উশৃঙ্খল মানুষ নেচে-গেয়ে উল্লাস করে নির্মমভাবে পেটাচ্ছে
তাকে। চট্টগ্রাম নগরীর দুই-নম্বর গেট এলাকায় এই নির্মম ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানা গেলেও
নিহত যুবকের অপরাধ কি এবং কারা তাকে মারছে জানা যায় নি।
এ ঘটনায় গত ১৫
আগস্ট নিহতের চাচা অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা
করেছেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, গেল ১৩ আগস্ট দুপুরে বাসা থেকে বের হন শাহাদাত। এরপর
গভীর রাত পর্যন্ত স্বামী বাসায় ফিরে না আসায় এবং ফোন বন্ধ পাওয়ায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেন
স্ত্রী শারমিন। পরদিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে মামলার বাদী ফেসবুকে নগরীর প্রবর্তক মোড় বদনাশাহ
মিয়া (রহ.) মাজারের বিপরীতে সড়কের পাশে শাহাদাত হোসেনের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন।
এর আগে, রাত ৯টার
দিকে খবর পেয়ে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শাহাদাত হোসেনের নিথর দেহ উদ্ধার
করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসকরা
তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. রইছ উদ্দিন জানান, গেল ২১ সেপ্টেম্বর এক যুবককে দুই হাত বেঁধে গান গেয়ে উশৃঙ্খল কিছু জনতার মারধরের একটি ভিডিও তাদের নজরে আসে। সেই ভিডিওটি বিশ্লেষণ করে জানা যায়, মারধরের শিকার যুবকটিই শাহাদাত হোসেন। তারা শাহাদাত হোসেনের স্ত্রীকে ওই ভিডিওটি দেখালে তিনি নিহত যুবক তার স্বামী বলে সনাক্ত করেন। তিনি বলেন, ভিডিও দেখে আসামীদের সনাক্ত এবং তাদের গ্রেফতারে জোর তৎপরতা চালাচ্ছে পুলিশ।
- জা.হো.ম.