চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী থানার দূর্গম
পাহাড়ি এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম ও ১০টি অস্ত্রসহ মূল কারিগর জাকির
হোসেনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম। আজ দুপুরে চান্দগাঁও ক্যাম্পে আয়োজিত
প্রেস ব্রিফিং-এ বিস্তারিত জানান র্যাব-৭ অধিনায়ক লে. কর্ণেল এম.এ ইউসুফ, পিএসসি।
তিনি জানান, র্যাব-এর নিকট তথ্য ছিল কতিপয়
ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে বাঁশখালীর জংগল চাম্বল এলাকায় অস্ত্রের কারখানা স্থাপন করে বিভিন্ন
অপরাধীর নিকট অস্ত্র বিক্রয় করে আসছে। এলাকাটি দূর্গম পাহাড়ি এলাকা এবং অপরিচিত কাউকে
দেখলেই এই অস্ত্র তৈরির সাথে জড়িত সিন্ডিকেটের সদস্যরা সতর্ক হয়ে যেত। ফলে তাদের অবস্থান
সনাক্তকরা ছিল কঠিন বিষয়। অবশেষে গত ৩০ আগষ্ট মঙ্গলবার র্যাবের আভিযানিক দল পাহাড়ি
এলাকার ভিতর দিয়ে বিশেষ কৌশলে এলাকায় প্রবেশ করে বাঁশখালী থানাধীন নতুনপাড়া এলাকার জনৈক আব্দুর রহমানের টিনের
দোচালা ঘর থেকে অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম ও ১০টি প্রস্তুতকৃত অস্ত্রসহ একজন মূল
কারিগরকে আটক করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃত কারিগর জাকির দীর্ঘদিন ধরে
এই কাজের সাথে জড়িত। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সকলের দৃষ্টি এড়াতে সে মাঝে মাঝে
লোক দেখানো কৃষি কাজ করতো। জিজ্ঞাসাবাদে জাকির জানায় ছোট ওয়ানশুটার গান জাতীয় অস্ত্র
প্রস্তুত করতে ৫-৬ দিন সময় লাগে। ১টি অস্ত্র তৈরির জন্য তারা অস্ত্রের ক্যাটাগরী ভেদে
১০-৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত মূল্য ধরে থাকে।
গ্রেফতারকৃত আসামী জাকির আরো জানায় তারা
মূলত ২জন কারিগর মিলে অস্ত্র তৈরির সম্পুর্ণ কাজটি করতো। অস্ত্রের প্রকারভেদে তাদের
ন্যুনতম ৫-১৫ দিন সময় লাগতো একটি অস্ত্র প্রস্তুত করতে। অস্ত্র তৈরির কাঁচামাল তারা
স্থানীয় বিভিন্ন ওয়ার্কশপ থেকে সংগ্রহ করে এই ভাড়া করা বাড়িটিতে নিয়ে এসে কাজ করতো।
যন্ত্রসমূহ পরিচালনার জন্য দূরের আরেকটি বাড়ি থেকে তারা তারের মাধ্যমে বৈদ্যুতিক সংযোগ
নিয়ে আসতো।
- মা.সো