কমিউনিটি ক্লিনিকের ২২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী দিবস উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনা সভা

নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ২০২২ এপ্রিল ২৮, ০১:৩৮ অপরাহ্ন

চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক কার্যালয়ের উদ্যোগে কমিউনিটি ক্লিনিকের ২২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বুধবার (২৭ এপ্রিল) সকালে নগরীর সিনেমা প্যালেস এ আয়োজিত আলোচনা সভায় বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মো. সাখাওয়াত উল্ল্যাহর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি। বিশেষ অতিথি ছিলেন ফৌজদারহাটস্থ বক্ষব্যাধি হাসপাতালের চিকিৎসা তত্ত্বাবধায়ক ডা.এস.এম নুরুল করিম ও জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এমওডিসি ডা. মোহাম্মদ নুরুল হায়দার। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রান্তিক ও অন্যান্য তৃণমূল জনগোষ্ঠীর কাঙ্খিত মৌলিক স্বাস্থ্যসেবার সুবিধাসমূহ নিশ্চিত করতে বর্তমানে ১৪ হাজার ১৮৫টি কমিউনিটি ক্লিনিক ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। এসব ক্লিনিক থেকে প্রতিদিন গড়ে ৪ লাখ মানুষ সেবা নিচ্ছে। প্রয়োজনীয় ২৭ ধরনের ওষুধ কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে মানুষ বিনা মূল্যে পাচ্ছে। ফলে সরাসরি উপকৃত হচ্ছে দেশের গ্রামাঞ্চলের জনগণের বিশাল একটি অংশ। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় কমিউনিটি ক্লিনিক এক যুগান্তকারী মডেল। কমিউনিটি স্বাস্থ্যকর্মীরা জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন, টিকা, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এবং পরামর্শ পরিসেবাসহ গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলোতে স্বল্প ও মধ্য আয়ের মানুষের মধ্যে সফলভাবে কাজ করছে কমিউনিটি ক্লিনিক। তিনি আরো বলেন, ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা প্রথম মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সরকার গঠনের পর কমিউনিটি ক্লিনিক প্রকল্প গ্রহণ করেন। গ্রামীণ প্রতি ছয় হাজার মানুষের জন্য একটি করে ক্লিনিক নির্মাণকাজ শুরু হয় ১৯৯৮ সালে। প্রাথমিকভাবে সাড়ে ১৩ হাজার ক্লিনিক নির্মাণের কথা ভাবা হয়েছিল। ২০০০ সালের ২৬ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটগাতি ইউনিয়নের গিমাডাঙ্গা কমিউনিটি ক্লিনিক উদ্বোধন করেন। স্বাস্থ্য খাতে দলীয় রাজনীতির উদাহরণ হয়ে আছে কমিউনিটি ক্লিনিক। ১৯৯৮ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত সারা দেশে ১০ হাজার ৭২৩টি ক্লিনিকের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছিল। এর মধ্যে চালু হয়েছিল প্রায় চার হাজার। ২০০১ সালের নির্বাচনের পর বিএনপির নেতৃত্বে জোট সরকার ক্ষমতায় এসে ক্লিনিকের কাজ বন্ধ করে দেয়। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসার পর কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করার উদ্যোগ শুরু হয়। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বা এনজিওদের দিয়ে ক্লিনিক চালানোর কথা তখন ভাবা হয়েছিল। ২০০৯ সালে নির্বাচনের পর সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। আবার সক্রিয় হয়ে ওঠে কমিউনিটি ক্লিনিক কার্যক্রম। কমিউনিটি ক্লিনিক ব্যবস্থাপনা ও নীতি নির্ধারণের জন্য সরকার গঠন করেছে কমিউনিটি ক্লিনিক ট্রাস্ট। একে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কমিউনিটি বেজড হেলথ কেয়ার (সিবিএইচসি) প্রকল্প থেকে। অনুষ্ঠানে জুনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা মুহাম্মদ হোসাইনের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. সুমন বড়ুয়া। বক্তব্য রাখেন বন্দর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. মোহাম্মদ জাবেদ। এসময় স্বাস্থ্য বিভাগের বিভিন্ন স্তরের কর্মরত চিকিৎসক-নার্স ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

- তথ্য ও ছবি (চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন)

- মা.ফা/জা.হো.ম

 


প্রধান সম্পাদক : জ্যোতির্ময় নন্দী
প্রধান নির্বাহী :  জামাল হোসাইন মনজু

ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :   অভ্র হোসাইন 

প্রকাশক ও চেয়ারম্যান : অর্ক হোসাইন

 

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয় :

এপিক ইত্তেহাদ পয়েন্ট [লেভেল-৪]

৬১৮ নুর আহমদ রোড

চট্টগ্রাম-৪০০০।

Newsroom :

Phone : 01700 776620, 0241 360833
E-mail : faguntelevision@gmail.com

© ২০২২ Fagun.TV । ফাগুন টেলিভিশন কর্তৃক সর্বসত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed by Smart Framework