চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
সিনেটের ৩৫ তম বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৩০ জুলাই সকালে চবি ড. এ.আর. মল্লিক ভবনে
(প্রশাসনিক ভবন) উপাচার্য দপ্তরের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার।
ভাষণের শুরুতে
উপাচার্য বাঙালি জাতির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর
রহমানকে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। তিনি মহান একুশের ভাষা-শহীদ, শহীদ জাতীয় চার নেতা,
মহান মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লক্ষ শহীদ, ’৭৫ এর ১৫ আগস্ট
নির্মমভাবে নিহত বঙ্গবন্ধু পরিবারের শহীদ সদস্যদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন
করেন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে নির্যাতিত দু’লক্ষ কন্যা, জায়া
ও জননীর প্রতি বিশেষ সম্মান প্রদর্শন করেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারসহ হারানো
জ্ঞানী-গুণী, প্রজ্ঞাবান ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের স্মৃতির প্রতি অকৃত্রিম শ্রদ্ধা নিবেদন
করে তাঁদের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা ও অবদানকে কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন তিনি।
উপাচার্য বলেন,
বঙ্গবন্ধু তনয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাস্তবানুগ ও সময়োপযোগী নির্দেশনার
পরিপ্রেক্ষিতে দেশের সমুদ্র সম্পদের আহরণ এবং সমুদ্র বিষয়ক বিশেষায়িত জ্ঞানের চর্চা
ও গবেষণার সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরিন সায়েন্সেস,
ফিশারিজ এবং ওশানোগ্রাফি বিষয়ে একাডেমিক ও গবেষণা কর্মকান্ড সম্প্রসারণের সুবিধাদি
সংযোজনের নিমিত্তে ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট
অব মেরিন সায়েন্সেস এন্ড ফিশারিজের গবেষণা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি’ শীর্ষক প্রকল্পের
আওতায় একটি নান্দনিক একাডেমিক ভবন নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। গত ৪ জুন ২০২৩
তারিখে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপুমনি এমপি এক
বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উক্ত ভবন উদ্বোধন করেন। প্রকল্পটি দেশের সমুদ্র সম্পদের
যথাযথ আহরণ ও ব্যবহারের মাধ্যমে জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য ও পুষ্টিগত
উন্নয়ন, দারিদ্র দূরীকরণ, অধিকতর কর্মসংস্থান, বাস্তুসংস্থান, শিল্প-বাণিজ্যের প্রসার,
জীব-বৈচিত্র্য সংরক্ষণ, আবহাওয়ার পূর্বাভাষকরণ, পরিবেশ দূষণরোধ, দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টি
ইত্যাদি খাতে ব্যাপক অবদান রাখবে। এককথায় এটি দেশের উজ্জ্বল সম্ভাবনাময় অর্থনৈতিক খাত
‘ব্লু ইকোনোমি’ কে সমৃদ্ধ করবে।
উপাচার্য বলেন,
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা-গবেষণা ও প্রশাসনিক কাজে গুণগত মান নিশ্চিতকরণ, উত্তরোত্তর
উন্নয়ন এবং আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখার লক্ষ্যে ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি এস্যুরেন্স
সেল (আইকিউএসি) বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মোতাবেক বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির আওতায় (এপিএ) বিভিন্ন কর্মশালা
আয়োজন করেছে। উল্লেখ্য, এবারেই প্রথম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত ৪০ জন
শিক্ষককে ৬দিনে ৩৩টি বিষয়ের উপর বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। এ ছাড়াও আইকিউএসি’র তত্ত্বাবধানে
বাংলাদেশ অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল (বিএসি)-এর শর্তানুসারে আউটকাম বেসড ক্যারিকুলাম
(ওবিই)-এর কার্যক্রম পর্যায়ক্রমে এগিয়ে চলছে।
উপাচার্য আরও
বলেন, দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে অভ্যন্তরীন আয় বৃদ্ধির তেমন সুযোগ নেই। বিশ্ববিদ্যালয়
পরিচালনার জন্য মূলতঃ সরকারী অর্থের উপর নির্ভর করতে হয়। ইতোমধ্যে ইউজিসি কর্তৃক প্রদত্ত
অনুদানের আওতায় কাটাপাহাড় জুড়ে ছাউনীযুক্ত ওয়াকওয়ে নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। এটি সম্পন্ন
হলে শিক্ষার্থীসহ সকলের চলাচল স্বাচ্ছন্দ্যময় হবে বলে আশা করা যায়। মঞ্জুরী কমিশনের
অর্থায়নে International Guest House & Researchers’ Dormitory এবং জামাল নজরুল
ইসলাম গণিত ও ভৌত বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের বর্ধিত ভবনের কাজ অতি সহসা হাতে নেয়া হবে।
চবি সমাজ বিজ্ঞান অনুষদ ভবনের সুরক্ষার জন্য ব্রেস্ট ওয়াল, ট্রান্সপোর্ট কমপ্লেক্সের
গাড়ীসমূহের সুরক্ষার জন্য ২য় শেড নির্মাণ কাজও সহসা হাতে নেয়া হচ্ছে। এলামনাইদের অর্থে
‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
তথ্য কেন্দ্র’-এর নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। চবিতে সার্বিকভাবে অটোমেশন
প্রক্রিয়া চালুকরণ, সৌরশক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি এবং বৃষ্টিসহ প্রাকৃতিক উৎস হতে প্রাপ্ত
পানি সংরক্ষণ ও তা পরিশোধনের মাধ্যমে দৈনন্দিন কাজের ব্যবহার-উপযোগীকরণ অগ্রাধিকার
ভিত্তিতে বাস্তবায়নের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ২০২২-২৩
অর্থবছরে উন্নয়ন ও রাজস্ব বাজেটের আওতায় বিদেশে উচ্চতর ডিগ্রি (মাস্টার্স/এমফিল/পিএইচডি)
প্রোগ্রামে অধ্যয়ন এবং বিদেশে সেমিনার ও কনফারেন্সে গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপনের নিমিত্তে
যোগদানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে ১৫ লক্ষ ৭৪ হাজার টাকা অনুদান মঞ্জুরী
দেয়া হয়েছে। আগামী ২০২৩-২৪ আর্থিক সালের জন্য রাজস্ব খাতে এ বাবদ ৩৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ
রাখা হয়েছে। অতিমারী করোনাউত্তর ২০২২-২৩ আর্থিক সালে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/সংস্থার অর্থায়নে
বিভিন্ন অনুষদের আওতায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক গবেষণা প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে, যেগুলো
বাস্তবায়নের জন্য এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বরিষ্ট শিক্ষকদের পাশাপাশি তরুণ শিক্ষক/গবেষকবৃন্দের
অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি বলেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের
সাথে বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রতিষ্ঠানের সাথে শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ে যৌথ
কার্যক্রম পরিচালনা ও রিসোর্স পার্সন বিনিময়ের জন্য ৫টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
উপাচার্য বলেন,
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কর্মকান্ডের কেন্দ্রবিন্দু হলো গ্রন্থাগার। ৫৬ হাজার ৭ শত
বর্গফুট আয়তন বিশিষ্ট চবি গ্রন্থাগারটি এ অঞ্চলের সর্ববৃহৎ অত্যাধুনিক ও সমৃদ্ধশালী
গ্রন্থাগার। বর্তমানে এর সংগ্রহে প্রায় ৪ লক্ষ পুস্তক আছে। ২০২২-২৩ আর্থিক সালে বই
ক্রয়ের জন্য বরাদ্দকৃত ৪২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা অনুষদসমূহের ডিনদের মাধ্যমে বিভাগ, ইনস্টিটিউট
ও গবেষণা কেন্দ্রসমূহে বন্টন করে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া Remote Xs সফটওয়্যার নবায়ন
করা হয়েছে। যার মাধ্যমে সম্মানিত শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীরা ই-রিসোর্স এর Off Campus সুবিধা পাচ্ছেন।
গ্রন্থাগারের পাঠকের চাহিদার উপর গুরুত্বারোপ করে দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারের
ন্যায় অত্র বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারেও আন্তর্জাতিক মানের Software
Koha MARC-21 চালু করা হয়েছে। এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমান প্রশাসন গ্রন্থাগারের
সুযোগ-সুবিধা অধিকতর বৃদ্ধি এবং আধুনিকায়নের ব্যাপারে আন্তরিকভাবে সচেষ্ট রয়েছে।
উপাচার্য আরও
বলেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরে চবি গবেষণা পরিচালনা ও প্রকাশনা দপ্তরে মোট ৬০টি গবেষণা প্রকল্প
সহ সর্বমোট ২৯৭টি গবেষণা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ২০২৩ সালে গবেষণা পরিচালনা ও প্রকাশনা
দপ্তরের অর্থায়নে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর
জীবন, কর্ম ও আদর্শ’ শীর্ষক শিরোনামে একটি সম্পাদিত গ্রন্থ
প্রকাশিত হয়েছে। এ দপ্তরের উদ্যোগে চবি শিক্ষকদের প্রবন্ধ নিয়ে ‘বাংলাদেশের ৫০
বছর’ শীর্ষক আরও একটি
সম্পাদিত গ্রন্থ প্রকাশের কার্যক্রম চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। পূর্ববঙ্গ ও আসাম (১৯০৫-১৯১৯),
Differential and Interal Calculus: A Research Hand Book এবং বৌদ্ধ ধর্মের
আলোকে মানবজীবনে দেহ-মনের গুরুত্ব শীর্ষক গ্রন্থগুলি প্রকাশনার কার্যক্রম চূড়ান্ত পর্যায়ে
রয়েছে। গবেষণা রিপোর্ট এবং গবেষণাসমূহ Plagiarism Check আন্তর্জাতিক মানে
উন্নীত করার জন্য ৯,০৭৫ ডলার সমপরিমাণ প্রায় ১০ লক্ষ টাকা নিয়ে Turnitin
Software ক্রয় করা হয়েছে। এ ছাড়াও ২০২৩-২৪ অর্থসালের গবেষণা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির
ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত জার্ণালে গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশের
জন্য চবি শিক্ষকদের স্বতন্ত্রভাবে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত প্রকাশনা ফি অনুদানের সংস্থান
রাখা হয়েছে। গবেষণা ও প্রকাশনা দপ্তরের অর্থায়নে সম্পন্নকৃত প্রকল্পগুলো থেকে ২০২২-২৩
আর্থিক সালে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জার্নালে সর্বমোট ৪৩টি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।
তিনি বলেন, শিক্ষা-গবেষণার
উৎকর্ষতায় তথ্য-প্রযুক্তির বিকল্প নাই। ৪র্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবেলায় চবি আইসিটি সেলের
অধীনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টারনেটের গতিসীমা বাড়ানোর পাশাপাশি ডিজিটালাইজেশন
কার্যক্রমে উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের
প্রযুক্তি জ্ঞান সমৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরকে ৬টি
গ্রুপে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন,
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ৫০ বছর মেয়াদী ডিজিটাল মাস্টার প্ল্যানের আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের
সামগ্রিক অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও একাডেমিক কর্মকান্ডের উৎকর্ষ বৃদ্ধি এবং শিক্ষার পরিবেশগত
মানোন্নয়নের লক্ষ্যে আগামী ৫ বছরে বাস্তবায়নযোগ্য ‘চবি একাডেমিক
ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং গবেষণা সক্ষমতা বৃদ্ধি’ শীর্ষক একটি
প্রকল্প প্রস্তাব অনুমোদনের নিমিত্তে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের মাধ্যমে শিক্ষা
মন্ত্রণালয়ে পেশ করা হয়েছে। প্রস্তাবটি আগামী ২০২৩-২৪ আর্থিক সালের জাতীয় বার্ষিক উন্নয়ন
কর্মসূচিতে স্থান পেয়েছে। উক্ত প্রকল্প প্রস্তাবে ৩টি একাডেমিক ভবন, বিভিন্ন অনুষদের
জন্য সায়েন্টিফিক রিসার্চ ল্যাব, ২য় প্রশাসনিক-কাম-সিনেট ভবন, টিএসসি ভবন, শিক্ষার্থীদের
জন্য ২টি আবাসিক হল, ট্রান্সপোর্ট কমপ্লেক্স, সড়ক নির্মাণ, সারফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট
প্ল্যান্ট, বৈদ্যুতিক সাব স্টেশন, সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট ইত্যাদি কাজ অন্তর্ভূক্ত
আছে। এ সব কাজ বাস্তবায়ন হলে বিশ্ববিদ্যালয়র প্রস্তাবিত মাস্টার প্ল্যানের আওতায় ব্যাপক
একাডেমিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন সাধিত হবে।
উপাচার্য তার
নাতিদীর্ঘ ভাষণ ধৈর্য্য ধরে শোনার জন্য সম্মানিত সিনেট সদস্যবৃন্দকে আন্তরিক ধন্যবাদ
জানান। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিশন-মিশন বাস্তবায়নে সম্মানিত সিনেট সদস্যসহ
সংশ্লিষ্ট সর্বমহলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন।
সিনেট সভায় শুভেচ্ছা
বক্তব্য রাখেন চবি উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে। সভায় ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে
৩৯৬ কোটি ০৫ লক্ষ টাকার সংশোধিত এবং ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের ৪০৫ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকার মূল
বাজেট উপস্থাপন করেন চবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কেএম নুর আহমদ। সিনেট সভায় এ বাজেট
অনুমোদিত হয়।
উপাচার্যের ভাষণ
ও বাজেটের ওপর প্রাণবন্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন চবি সম্মানিত সিনেট সদস্য মাননীয় সাংসদ
ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, মাননীয় সাংসদ মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী, সম্মানিত সিনেট সদস্য
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান, বিসিএসআইআর চেয়ারম্যান
প্রফেসর ড. মো. আফতাব আলী শেখ, ড. দিলারা জাহিদ, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ বশির আহাম্মদ,
স. ম. নজরুল ইসলাম, প্রফেসর ড. মো. মাহবুবুর রহমান, মোহাম্মদ মহিউদ্দিন শাহ্ আলম নিপু,
প্রফেসর ড. মো. দানেশ মিয়া, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ নাসিম হাসান, প্রফেসর ড. মো. রাশেদ-উন-নবী,
প্রফেসর ড. অঞ্জন কুমার চৌধুরী, প্রফেসর এবিএম আবু নোমান, প্রফেসর ড. আবদুল্লাহ আল
ফারুক, ড. মোহাম্মদ ওমর ফারুক, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সফিউল আলম, প্রফেসর সিরাজ-উদ-দৌল্লাহ,
প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাহবুবল হক, প্রফেসর মনসুর উদ্দিন আহমদ, ড. মোহাম্মদ মঞ্জুর-উল-আমিন
চৌধুরী, এসএম ফজলুল হক এবং প্রফেসর ড. ফরিদ উদ্দিন আহামেদ। এছাড়াও অনলাইনে আলোচনায়
অংশগ্রহণ করেন সিনেট সদস্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত
সচিব (বিশ্ববিদ্যালয়) মো. আবু ইউসুফ মিয়া।
সিনেট সভায় উপস্থিত মাননীয় সংসদ সদস্যবৃন্দ, সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ, সম্মানিত সিনেট সদস্যবৃন্দ, আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ, চবি অফিস প্রধানবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে উপাচার্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
- অ.হো.