রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে জাতিসংঘের আরো বলিষ্ঠ ভূমিকা চাই

জাতীয় ডেস্ক
প্রকাশিত : বুধবার, ২০২২ সেপ্টেম্বর ২১, ০৮:২৬ অপরাহ্ন

মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের তাদের দেশে প্রত্যাবাসনে এবং এ সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী ও জাতিসংঘের আরো বলিষ্ঠ ভূমিকা পালনের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শরণার্থী বিষয়ক ইউএন হাইকমিশনার ফিলিপো গ্রান্ডি লটে নিউইয়র্ক প্যালেস হোটেলে অবস্থানরত প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ আহ্বান জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ইউএনজিএ’র ৭৭তম অধিবেশনের সাইডলাইন বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যক্রমের ব্যাপারে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন।

গ্রান্ডি’র সঙ্গে ওই বৈঠকে শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারে ইউএনএইচসিআরের কার্যক্রম আরো জোরদার করার উপর গুরুত্বারোপ করেন।

জবাবে গ্রান্ডি বলেন, অবস্থা সরেজমিনে দেখা ও আলোচনার জন্য শিগগিরই তিনি মিয়ানমার সফর করবেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা রোহিঙ্গাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের মাধ্যমেই রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান সম্ভব।

ইউএনএইচসিআর হাইকমিশনারও এ বিষয়ে তাঁর সঙ্গে একমত প্রকাশ করেন।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, বৈঠক চলাকালে তাঁরা বাংলাদেশের কক্সবাজার ও ভাসানচরে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সহায়তায় ইউএনএইচসিআরের বর্তমান কার্যক্রম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

পরে একই স্থানে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)-এর প্রসিকিউটর করিম এ. এ. খান কিউসি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাৎ করেন।

তাঁরা বাংলাদেশ ও আইসিসি’র মধ্যে সহযোগিতার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন।

প্রধানমন্ত্রী আইসিসি’র প্রসিকিউটরকে আশ্বাস দেন যে, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা ভিকটিমদের জন্য ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে আইসিসি’র চলমান সকল প্রচেষ্টার ব্যাপারে বাংলাদেশ সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।

এ বৈঠকে খান আগামী বছরের শুরুর দিকে বাংলাদেশ সফরের ব্যাপারে তাঁর আগ্রহ ব্যক্ত করেন।

এছাড়া জাতিসংঘ হ্যাবিটাটের নির্বাহী পরিচালক মায়মুনা মোহাম্মদ শরীফ-ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

এখানে লটে নিউইয়র্ক প্যালেস হোটেলের কক্ষে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে তাঁরা টেকসই নগরায়ন এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভবিষ্যৎ সহযোগিতার গুরুত্ব বিবেচনা করে বাংলাদেশ সরকারের পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেন।

এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের জন্য তাঁর সরকারের গ্রহণ করা আশ্রয়ণ প্রকল্পের সফলতার ব্যাপারে শরীফকে অবহিত করেন।

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে সাম্প্রতিক গোলাগুলি সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ. কে. আবদুল মোমেন বাংলাদেশের অভ্যন্তরে গোলার আঘাত হানাকে ‘অনিচ্ছাকৃত ভুল’ বলে অভিহিত করেন। মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ করছে না।

তিনি বলেন, “সেই নির্দিষ্ট সীমান্ত এলাকাটি খুব আঁকাবাকা। কখনও কখনও সীমান্ত বোঝা কঠিন। সে কারণে তারা আমাদের সীমান্তের ভিতরে ইচ্ছাকৃতভাবে গোলা বর্ষণ করছে না, আমাদের সীমান্তের অভ্যন্তরে যে একটি-দুটি শেল পড়েছে তা ভুলবশত পড়েছে।”

মোমেন আরো বলেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে এবং মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে, তারা ভবিষ্যতে এব্যাপারে সতর্ক থাকবে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকার র‌্যাবের সাবেক ও বর্তমান ছয় কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য দেয়নি।

তিনি বলেন, সরকার নিষেধাজ্ঞা আরোপের কারণ জানতে চেয়েছে। “তারা এখন পর্যন্ত কোনো সঠিক ও সুনির্দিষ্ট তথ্য দেয় নি। তাই আমরা বিষয়টি সম্পর্কে জানি না।”


প্রধান সম্পাদক : জ্যোতির্ময় নন্দী
প্রধান নির্বাহী :  জামাল হোসাইন মনজু

ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :   অভ্র হোসাইন 

প্রকাশক ও চেয়ারম্যান : অর্ক হোসাইন

 

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয় :

এপিক ইত্তেহাদ পয়েন্ট [লেভেল-৪]

৬১৮ নুর আহমদ রোড

চট্টগ্রাম-৪০০০।

Newsroom :

Phone : 01700 776620, 0241 360833
E-mail : faguntelevision@gmail.com

© ২০২২ Fagun.TV । ফাগুন টেলিভিশন কর্তৃক সর্বসত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed by Smart Framework