বেলজিয়ামের রাণী
মাথিল্ডে ম্যারি ক্রিস্টিন কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন। ৭
ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার রাণী উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প ৩ এর হলি চাইল্ড লার্নিং সেন্টার,
ক্যাম্প ৪ এক্সটেনশনের প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র, ECO-SHED এবং বর্জ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম ও ক্যাম্প ৫ এর উইমেন'স মার্কেট এর বিভিন্ন
কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি,
কক্সবাজারের সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল, বাংলাদেশে নিযুক্ত বেলজিয়ামের রাষ্ট্রদূত ও কক্সবাজার
জেলা প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তাগণ রাণীর সাথে উপস্থিত ছিলেন।
বিমানবন্দর থেকে
সরাসরি হলি চাইল্ড লার্নিং সেন্টার পরিদর্শনে যান বেলজিয়ামের রাণী। এসময় রাণীকে এক
পলক দেখতে সেখানে ভীড় জমায় ক্যাম্পে অবস্থানরত রোহিঙ্গা শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পে প্রবেশের
সাথে সাথে রাণীকে হাত নেড়ে অভিবাদন জানায় তারা। পরিদর্শনের সময় রাণীও ক্যাম্পের রাস্তার
দু’পাশের শত শত রোহিঙ্গা
শরণার্থীদের হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান। লার্নিং সেন্টারের ছাত্রছাত্রীরা রাণীকে স্কুলে
চলমান শিক্ষা কার্যক্রম ও মায়ানমারের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করে শোনায়। এসময় রাণী ছাত্রছাত্রীদের
সাথে বেঞ্চে বসে তাদের সাথে গল্পে মেতে ওঠেন। এখন তারা কেমন আছে, খাবার পানি, পয়নিস্কাশন
ব্যবস্থা ও নিরাপত্তাসহ সার্বিক বিষয়ে তিনি আন্তরিকভাবে খোঁজখবর নেন।
পরে রাণী ক্যাম্প
৫ এর উইমেন'স মার্কেট পরিদর্শনে যান। তিনি উদ্যোক্তা নারীদের জীবন ও জীবিকার উৎসের
বিষয়ে খোঁজখবর নেন। রোহিঙ্গা উদ্যোক্তা নারীরা রাণীর কাছে ক্ষুদ্র বিনিয়োগের মাধ্যমে
ব্যবসায়ে সফলতার গল্প আগ্রহভরে তুলে ধরেন। এক নারী উদ্যোক্তা বলেন, আমি তিন হাজার টাকা
নিয়ে ব্যবসা শুরু করেছিলাম, এখন আমার ব্যবসায়ের মূলূধন অর্ধ লক্ষ টাকায় এসে দাঁড়িয়েছে।
এসময় রাণী ক্যাম্প ৪ এক্সটেনশনের প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রও পরিদর্শন করেন।
ক্যাম্প ৪ এক্সটেনশন এর ECO-SHED এ বন্যপ্রাণী ও বনজ সম্পদ রক্ষার কাজে যোগদান করা রোহিঙ্গা নারী ও পুরুষদের সাথেও রাণী কথা বলেন। সে সময় কোন পরিস্থিতিতে তারা বাংলাদেশে আসতে বাধ্য হয়েছে, এর আগমুহূর্তগুলো কেমন ছিলো সে বিষয়ে রোহিঙ্গাদের মুখ থেকে জানতে চেষ্টা করেন রাণী। পরে তিনি বর্জ্যব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
- অ.হো.