মিয়ানমারে সাম্প্রতিক অস্থিরতা: নজর রাখছে ভারত, শঙ্কিত বাংলাদেশ

ভারত মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সাম্প্রতিক অস্থিরতার দিকে নজর রাখছে, আর বাংলাদেশ আশঙ্কা করছে-- এ ঘটনা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে
প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ২০২২ সেপ্টেম্বর ০৬, ১০:২৩ পূর্বাহ্ন

ভারত মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সাম্প্রতিক অস্থিরতার দিকে নজর রাখছে, আর বাংলাদেশ আশঙ্কা করছে-- এ ঘটনা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস. জয়শঙ্কর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ মন্তব্য করেন।

বৈঠকশেষে ভারতীয় মন্ত্রীর বরাত দিয়ে সিনিয়র পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, “তারা আমাদের বলেছে যে, ভারত সেখানে (রাখাইন রাজ্য) সৃষ্ট অস্থিরতার দিকে নজর রাখছে।”

তিনি বলেন, বৈঠকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে, এবং এক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে, রাখাইন রাজ্যে সাম্প্রতিক অস্থিরতার ইস্যুতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ব্যাহত হতে পারে।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, “প্রত্যেকেরই সেই আশঙ্কা রয়েছে।”

বৈঠকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সফর বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরো গভীর করার প্রেরণা হিসেবে কাজ করবে। তিনি মনে করেন, এ সফরের ফলে একবছর আগে (২০২১-এ) ভারতীয় রাষ্ট্রপতি এবং ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের মাধ্যমে শুরু হওয়া চক্রটি পূর্ণ হয়েছে।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব জানান, দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক খুবই ভালো।

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, বৈঠকে বাংলাদেশ ও ভারত উভয়ই প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে সংযোগ বাড়াতে তাদের প্রস্তাব দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশ, ভারত, ভুটান ও নেপালের জনগণের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করবে এমন প্রকল্পগুলোকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, এ লক্ষ্যে এই অঞ্চলে আরো ভালো যোগাযোগের জন্য বিবিআইএন-এর মতো উদ্যোগকে বেগবান করতে হবে।

তিনি বলেন, নেপাল ও ভুটানকে বাংলাদেশের বন্দর ব্যবহারের সুযোগ দেয়ার উদ্যোগ নিতে হবে।

তিনি বলেন, “এ সংযোগ মানে শুধু ভৌত সংযোগ নয়, এতে আছে জ্বালানি সংযোগ এবং জনগণের সঙ্গে জনগণের সংযোগ।”

কোভিড-১৯ মহামারী চলাকালীন জনগণের সাথে জনগণের যোগাযোগ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতির পর সড়ক, বিমান ও রেল যোগাযোগ পুনরুদ্ধার করা হয়েছে।

গ্রিড কানেক্টিভিটির বিষয়ে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, গ্রিড কানেক্টিভিটি বাংলাদেশকে নেপাল, ভুটান এবং ভারত থেকে বিদ্যুৎ আনতে এক অংশ থেকে অন্য অংশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সহায়তা করবে।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এরই মধ্যে সংযোগের মাধ্যমে বাংলাদেশে ১০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আনা হচ্ছে।

আলোচনাকালে পানি বণ্টনের বিষয়টিও উঠে এসেছে জানিয়ে তিনি বলেন, আগামীকাল এ লক্ষ্যে মূল আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি বলেন, বৈঠকে তাঁরা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়েও আলোচনা করেছেন যা বিশ্বে একটি সংকট তৈরি করেছে।

তিনি আরো বলেন, উভয় নেতা সম্মিলিতভাবে সংকট মোকাবেলায় সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা করেছেন।

যুদ্ধের পটভূমিতে জ্বালানি সহযোগিতার বিষয়ে তিনি বলেন, পারস্পরিক সম্মত শর্তাবলীর ভিত্তিতে জ্বালানি উদ্বৃত্ত থাকলে বাংলাদেশ ভারত থেকে জ্বালানি তেল সংগ্রহ করতে পারে।

রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল কেনার বিষয়ে তিনি বলেন, তারা রাশিয়া থেকে তেল নিতে পারবে না এটা ঠিক নয়, তবে “আমরা এখন প্রযুক্তিগত বিষয়গুলো যাচাই করছি”।

ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাঁরা কুশিয়ারা নদীর পানি বণ্টন, পানি ব্যবস্থাপনা, তথ্য ও সম্প্রচার, রেলওয়ে এবং বিএসআরআই-এর বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করার লক্ষ্যে খসড়া চূড়ান্ত করছেন।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অন্যান্য আরো অনেক ইস্যুর পাশাপাশি তিস্তা ও গঙ্গা নদীর পানি বণ্টন নিয়ে আলোচনা হতে পারে। শীঘ্রই গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে। 


প্রধান সম্পাদক : জ্যোতির্ময় নন্দী
প্রধান নির্বাহী :  জামাল হোসাইন মনজু

ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :   অভ্র হোসাইন 

প্রকাশক ও চেয়ারম্যান : অর্ক হোসাইন

 

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয় :

এপিক ইত্তেহাদ পয়েন্ট [লেভেল-৪]

৬১৮ নুর আহমদ রোড

চট্টগ্রাম-৪০০০।

Newsroom :

Phone : 01700 776620, 0241 360833
E-mail : faguntelevision@gmail.com

© ২০২২ Fagun.TV । ফাগুন টেলিভিশন কর্তৃক সর্বসত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed by Smart Framework