চট্টগ্রামে প্রধানমন্ত্রীর
জনসভাকে উপলক্ষ্য করে ব্যাপক সাড়া জেগেছে, মানুষের মধ্যে অনেক উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি
হয়েছে। আমরা আশা করছি পলোগ্রাউন্ডে আমাদের জনসভায় মাঠ পূর্ণ করে মাঠের বাইরে আরও আট-দশগুণ
মানুষের সমাগম হবে।
৩ ডিসেম্বর শনিবার
সকালে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর
জনসভাস্থল পলোগ্রাউন্ড মাঠ পরিদর্শনশেষে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ
এসব কথা বলেন।
জনসভার সার্বিক
প্রস্তুতি এবং পরিস্থিতি অত্যন্ত সন্তোষজনক বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান। চট্টগ্রামের
পলোগ্রাউন্ড অনেক বড় মাঠ, এখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু জনসভা করেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা
জননেত্রী শেখ হাসিনাও জনসভা করেছেন। কানায় কানায় পূর্ণ জনসভা হয়েছে। অতীতেও মাঠ ছাড়িয়ে
মানুষ বাইরে দাঁড়িয়েছে। আমরা যেভাবে সাড়া দেখতে পাচ্ছি, এবার কিন্তু মাঠের তুলনায় আট-দশ
গুণ বেশি মানুষ মাঠের বাইরে থাকতে হবে। ক’দিন আগে এখানে
বিএনপি জনসভা করেছিল। মাঠের তিন ভাগের একভাগ পেছনে রেখে তারা মঞ্চ বানিয়েছিল। আর সামনে
যে মাঠ ছিল তার অর্ধেক পূর্ণ হয়েছিল।
জনসভার মধ্যদিয়ে
আওয়ামীলীগ জনসাধারনকে কি বার্তা দিতে চায় এমন প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, আওয়ামীলীগ
হল গণমানুষের দল, আমরা জনগনের জন্যই কাজ করি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৪ বছরে
দেশকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছেন। তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্বের ফলে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের
দেশে উন্নীত হয়েছে, দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে, মানুষের মাথাপিছু আয় ভারতকেও
ছাড়িয়ে গেছে। আমরা যেহেতু জনগনের রায় নিয়ে সরকার গঠন করেছি, আমরা দেশকে পিছনে নিয়ে
যেতে পারি না, জনগনের সামনে দাঁড়ানো আমাদের কর্তব্য।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ এমপি, সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আ.জ.ম নাছির উদ্দিন, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম.এ সালাম ও সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ.টি.ম পেয়ারুল ইসলামসহ আওয়ামী লীগের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
- ই.হো