শারদীয়
দুর্গোৎসবের পরপরই হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দ্বিতীয় বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শ্যামাপূজা আজ
সোমবার। এটি কালীপূজা ও শুভ দীপাবলি উৎসব হিসেবে পালন করেন অনেকেই।
হিন্দু
সম্প্রদায়ের বিশ্বাস মতে, শ্যামা বা কালী দেবী হলেন শান্তি, সংহতি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায়
সংগ্রামের প্রতীক। দুষ্টের দমন আর শিষ্টের লালনের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী ভক্তদের জীবনে
অবারিত কল্যাণের অঙ্গীকার নিয়ে পৃথিবীতে শ্যামা মায়ের আগমন ঘটে।
কালীপূজার
দিনে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা সন্ধ্যায় বাড়িতে ও শ্মশানে প্রদীপ, মোম প্রজ্বালন করে স্বর্গীয়
বাবা-মা ও আত্মীয়স্বজনকে স্মরণ করবেন। অমাবস্যার সব অমানিশা দূর করতে দীপাবলির এ রাতে
প্রদীপ জ্বালানো হয়। প্রতিবছরের কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে শ্যামাপূজা বা কালীপূজা
অনুষ্ঠিত হয়।
এদিন ঢাকার শাঁখারীবাজার, তাঁতীবাজার, সূত্রাপুরসহ অনেক এলাকায় বেশ ঘটা করে শ্যামাপূজা হয়। রমনা কালীমন্দির ও মা আনন্দময়ী আশ্রম, সিদ্ধেশ্বরী কালীমন্দির, বরদেশ্বরী কালীমাতা মন্দির, ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে পূজার আয়োজন রয়েছে। মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির উদ্যোগে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে কেন্দ্রীয়ভাবে শ্যামাপূজা হবে।
চট্টগ্রামে
চট্টেশ্বরী কালীমন্দির, সদরঘাট কালীবাড়ি, লাভ লেনের আনন্দময়ী কালীবাড়ি, রামকৃষ্ণ
মিশন প্রভৃতি মঠ-মন্দিরে এবং অসংখ্য মণ্ডপে সাড়ম্বরে শুভ দীপাবলী ও শ্যামাপূজা
অনুষ্ঠিত হবে। তবে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং-এর কারণে উৎসবে কিছুটা বিঘ্ন ঘটতে পারে বলেও
আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের
সভাপতি মিলন কান্তি দত্ত, সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুমার চ্যাটার্জী, মহানগর সার্বজনীন
পূজা কমিটির সভাপতি শৈলেন্দ্রনাথ মজুমদার ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কিশোর রঞ্জন
মণ্ডল হিন্দু সম্প্রদায়সহ দেশবাসীকে শ্যামাপূজার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।