চট্টগ্রাম নগরীতে গৃহকর নিয়ে বিভ্রান্ত হবার অবকাশ নেই। কোন ধরনের বাড়তি করের বোঝা চাপিয়ে দেয়ার প্রশ্নই আসে না। এই গৃহকর নিয়ে একটি মহল বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য যে অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে তাদের সম্পর্কে নগরবাসীকে সচেতন হতে হবে। ২২ আগস্ট সোমবার চান্দগাঁও কল্যাণ সমিতির অফিসে নেতৃবৃন্দদের সাথে সাক্ষাতকালে এ কথা বলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।
নগরীর চান্দগাঁও আবাসিক এলাকায় আয়োজিত সভায় মেয়র বলেন, ২০০৯ সালে কর মূল্যায়নের উপর এতদিন যাবৎ করদাতারা কর দিয়েছেন। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ২০১৭ সালের পৌরকর মূল্যায়নের উপর কর আদায়ের জন্য চসিকের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এই মূল্যায়নে কোনো অসঙ্গতি থাকলে পূর্বের বকেয়া পরিশোধপূর্বক আপিলের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করার আহ্বান জানিয়ে মেয়র আরো বলেন, নগরবাসী আপিল ফরম অনলাইন, সার্কেল অফিস, ওয়ার্ড অফিস থেকে সংগ্রহ করে যথাযথভাবে আপিল করতে পারবেন।
তিনি আরো বলেন, সারা বাংলাদেশে যেভাবে উন্নয়ন সংগঠিত হচ্ছে, তার সাথে চট্টগ্রাম উন্নয়ন অব্যাহত আছে। বর্তমান সরকার কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল, মিরসরাই বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণসহ যে সকল মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে, তা সম্পন্ন হলে চট্টগ্রাম নগরী হবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম সমৃদ্ধ নগরী। এই নগরীকে নান্দনিক ও স্মার্ট সিটি হিসেবে গড়ে তুলতে নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানান মেয়র।
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন চান্দগাঁও আবাসিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জিয়াউদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল, সহ-সভাপতি আবদুল কাদের, আলাউদ্দিন, আবু জাফর, আবু বক্কর চৌধুরী ও তৌফিক হোসেন।
- মা.সো