সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নগর চট্টগ্রাম। আবহমানকাল ধরে এই সম্প্রীতি চলমান আছে। এখানে কোন ধর্ম-বর্ণের ভেদাভেদ নেই। শারদীয় দূর্গোৎসব বাঙ্গালী-সংস্কৃতির ঐতিহ্যের একটি অংশ। কোন সাম্প্রদায়িক শক্তি এই সম্প্রীতির অগ্রযাত্রা বিনিষ্ট করতে চাইলে জনগনকে সাথে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। নগরীতে সামাজিক সম্প্রীতি কমিটি গঠন এবং সম্প্রীতি সমাবেশ করবে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন।
৬ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকালে আসন্ন শারদীয় দূর্গা পূজা উপলক্ষে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির সভাপতি লায়ন আশীষ কুমার ভট্টাচার্য-এর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।
মেয়র আরও বলেন, আসন্ন শারদীয় দূর্গোৎসবে নগরীর প্রতিটি পূজা মন্ডপে নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে পর্যাপ্ত আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সিটি কর্পোরেশন ও পূজা কমিটির স্বেচ্ছাসেবকগণ নিয়োজিত থাকবে। প্রতিটি পূজা মন্ডপে সিসিটিভি ক্যামরা বসানোর জন্য কমিটির নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। প্রতিটি পূজা মন্ডপ এলাকায় রাস্তা সংস্কার ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশ বজায় রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে সিটি কর্পোরেশনের সংশ্লিস্ট বিভাগকে। পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত, অভয়মিত্র ঘাট ও কালুরঘাট এলাকায় প্রতিমা বিসর্জন কর্মসূচীর ব্যয়ভার সিটি কর্পোরেশন বহন করবে বলেও জানান মেয়র।
সভায় মেয়র আরও বলেন, একটি মহল ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করে নানা অপপ্রচার ও মিথ্যাচারের মধ্যদিয়ে বাঙ্গালীর এই ঐতিহ্যকে নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। তারা আন্দোলনের নামে দেশকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্তে লিপ্ত। আমাদেরকে এই অপশক্তির বিরুদ্ধে শান্তিময় পরিবেশ রক্ষায় জনগনকে সাথে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। তিনি বলেন, সন্ত্রাস অস্ত্রবাজি, গ্রেনেড হামলা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের ষড়যন্ত্রের মতো নেতিবাচক রাজনীতির মানষিকতা ছেড়ে দিয়ে রাজনৈতিক আচরণ করতে হবে। মেয়র মহানগর পূজা উদযাপন কমিটির তত্ত্বাধানে নগরীতে যে সকল মন্ডপ স্থাপন করা হবে তাদের প্রতিটি মন্ডপের জন্য প্রতি বছরের ন্যায় চসিকের পক্ষ হতে আর্থিক অনুদান প্রদানের ঘোষণা দেন।
সাধারণ সম্পাদক হিল্লোল সেন উজ্জলের সঞ্চালনায় ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী, শৈবাল দাশ সমুন, হাসান মুরাদ বিল্পব, পুলক খাস্তগীর, আবদুস সালাম মাসুম, সংরক্ষিত কাউন্সিলর নিলু নাগ, রুমকী সেন, এড. চন্দন তালুকদার, সাধন ধর, প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশ, অরবিন্দু পাল অরুন, অধ্যাপক অর্পণ কান্তি ব্যানার্জি, অরূপ রতন চক্রবর্তী, সুজিত দাশ, সজল দত্ত, বিপ্লব সেন, রাধা রাণী দেবী, বিমল দেব প্রমুখ সভায় বক্তব্য রাখেন।
- মা.ফা