গত বছরের দুর্দান্ত
পারফরমেন্সের পুরস্কার হিসেবে ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছেন লিওনেল
মেসি। এনিয়ে দ্বিতীয় বারের মত ফিফার বর্ষসেরার পুরস্কার হাতে নিলেন মেসি। এর আগে
২০১৬ সালে তিনি বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থার বর্ষসেরার পুরস্কার জয় করেছিলেন।
একই সাথে নারী বিভাগে বর্ষসেরার পুরস্কার ধরে রেখেছেন স্পেনের এ্যালেক্সিয়া
পুটেলাস।
২৭ ফেব্রুয়ারি সোমবার রাতে
প্যারিসে এক বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে ২০২২ সালে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বর্ষসেরা
খেলোয়াড়দের পুরস্কৃত করা হয়। প্রতি বছর ফিফা সদস্যভূক্ত দেশগুলোর জাতীয় দলের কোচ,
অধিনায়ক, সাংবাদিক ও সমর্থকদের ভোটে বর্ষসেরা হিসেবে একজন খেলোয়াড়কে বেছে নেয়া হয়।
ফুটবলজগতে সেরা হবার
লড়াইয়ে মেসি পিএসজি সতীর্থ বিশ্বকাপ ফাইনালে প্রতিদ্বন্দ্বী কিলিয়ান এমবাপ্পে ও
ব্যালন ডি’অর বিজয়ী রিয়াল মাদ্রিদ তারকা করিম বেনজেমাকে পিছনে ফেলেন। ক্যারিয়ারে
প্রথমবারের মত তিনি আর্জেন্টিনার হাতে তুলে দিয়েছেন বিশ্বকাপের শিরোপা। দোহায়
অনুষ্ঠিত স্মরণীয় ফাইনালে মেসি দুই গোল করেছিলেন। এমবাপ্পের হ্যাটট্রিক সত্বেও
পেনাল্টিতে ফ্রান্সকে পরাজিত করে শিরোপা জয় করে আর্জেন্টিনা। টুর্নামেন্ট সেরা হয়ে
গোল্ডেন বল ট্রফি জয় করেন মেসি। সর্বোচ্চ আট গোল করে এমবাপ্পে পেয়েছিলেন গোল্ডেন
বুট ট্রফি।
বর্ষসেরার পুরস্কার
হাতে নিয়ে মেসি গণমাধ্যমকে বলেন, আমি আমার স্বপ্নকে স্পর্শ করতে পেরেছি যার জন্য
ক্যারিয়ার জুড়ে কঠোর পরিশ্রম করেছি। দিনের শেষে এই ট্রফিটি হাতে পেয়েছি। আমার
ক্যারিয়ারে এর থেকে সুন্দর সময় কখনো আসেনি। এটা সব ফুটবলারেরই স্বপ্ন থাকে। কিন্তু
খুব কম খেলোয়াড়ই সেই স্বপ্ন সত্যি করতে পারে।
এদিকে নারী বিভাগে
সেরার পুরস্কার ধরে রেখেছেন পুটেলাস। গত বছরের প্রায় অর্ধেকটা সময় ইনজুরির কারনে
মাঠের বাইরে থাকার পরেও সেরার তালিকায় কেউ তাকে পিছনে ফেলতে পারেনি। ব্যালন ডি’অর
বিজয়ী ২৯ বছর বয়সী পুটেলাস এই তালিকায় পিছনে ফেলেছেন ইংল্যান্ডের ইউরোপীয়ান
চ্যাম্পিয়নশীপ বিজয়ী স্ট্রাইকার বিথ মিড ও যুক্তরাষ্ট্রের তারকা এ্যালেক্স
মরগানকে।
ফিফা বর্ষসেরার তালিকায়
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী দলটির আধিপত্য লক্ষ্য করা গেছে। বর্ষসেরা কোচ হিসেবে
আর্জেন্টিনার লিওনেল স্কালোনি ও সেরা গোলরক্ষক হিসেবে পুরস্কার ছিনিয়ে নিয়েছেন
এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার হয়ে গোলবার সামলানো মার্টিনেজ পিছনে
ফেলেছেন থিবো কোর্তোয়া ও বুনোকে। কোচের ক্যাটাগরিতে রিয়াল মাদ্রিদের কার্লো
আনচেলত্তি ও ম্যানচেস্টার সিটির পেপ গার্দিওলাকে পিছনে ফেলে সেরা হয়েছে স্কালোনি।
নারী ক্যাটাগরিতে সেরা
কোচ নির্বাচিত হয়েছে ইংল্যান্ডের ইউরো জয়ী ডাচ কোচ সারিনা উইগম্যান। আর সেরা নারী
গোলরক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন ইংলিশ গোলরক্ষক ম্যারি এরাপস।
বর্ষসেরা গোলের জন্য পুসকাস অ্যাওয়ার্ড জেতেন মার্সিন ওলেক্সি। এই প্রথমবার পেশাদার ফুটবলারের বাইরে শারীরিক প্রতিবন্ধী কোনো ফুটবলারের হাতে উঠলো এই পুরস্কার। স্ক্র্যাচে ভর করে বাইসাইকেল কিকে অসাধারণ এক গোল করেছিলেন ওলেক্সি।
- মা.ফা.