সুপার টুয়েলভে নিজেদের প্রথম ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে
৯ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। আর এই জয়ের মধ্য দিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট বিশ্বকাপে যাত্রা
শুরু করলো টাইগাররা।
এই জয়ে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে নিজেদের প্রথম
টি-টোয়েন্টিতেই জয় পেলো বাংলাদেশ। এই জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছেন পেসার তাসকিন আহমেদ।
তবে কম যাননি হাসান মাহমুদও। ১৫ রান দিয়ে তিনি নেন দুই উইকেট নিয়ে তিনিও বড়ো অবদান
রাখেন। আর আফিফের ৩৮ রানের ইনিংসটি শক্ত ভিত গড়ে দিয়েছিল বাংলাদেশকে।
বাংলাদেশের ছুঁড়ে দেয়া
১৪৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৩৫ রানে অলআউট হয়েছে নেদারল্যান্ডস। মূলত তাসকিন
আহমেদের দুর্ধর্ষ বোলিংয়ের ওপর ভর করেই জয়ের দেখা পেলো বাংলাদেশ। ৪ উইকেট নেওয়ার সুবাদে ম্যাচসেরা হয়েছেন তাসকিন আহমেদ।
১৪৫
রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামার পর নেদারল্যান্ডসকে শুরুতেই বড় ধরনের ধাক্কা
দিয়েছিলেন তাসকিন আহমেদ। প্রথম দুই বলেই তুলে নেন জোড়া উইকেট। এরকিছুক্ষণ পর টানা
দুটি রানআউটে আরও ব্যাকফুটে চলে যায় ডাচরা। ব্যাটিংয়ের সেই যে কোমর ভেঙেছিল, সেখান
থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি।
তবুও
চেষ্টা করেছিলেন কলিন অ্যাকারম্যান। তিনি একাই লড়াই করলেন বাংলাদেশের বোলারদের
বিপক্ষে। ৪৮ বলে ৬২ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস উপহার দেন। তার সঙ্গে আর একজন
ব্যাটার যদি ৪০-৪৫ রান করতে পারতো, তাহলে বাংলাদেশের জয় পাওয়া সম্ভব হতো না।
অ্যাকারম্যানের দৃঢ়তায় ১৫ রানে ৪ উইকেট হারানোর পরও ১৩৫ রান পর্যন্ত যেতে পেরেছে নেদারল্যান্ডস। ৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ। ২ উইকেট নেন হাসান মাহমুদ। ১টি করে উইকেট নেন সাকিব আল হাসান এবং সৌম্য সরকার। ইনিংসের একেবারে শেষ বলে এসে অলআউট হয়ে যায় ডাচরা।
মোস্তাফিজুর
রহমান কৃপণ বোলিং করেছেন। মাত্র ২০ রান দিলেও তিনি কোনো উইকেট নিতে পারেননি। তবে
সবচেয়ে কৃপণ ছিলেন হাসান মাহমুদ। ৪ ওভারে তিনি দিয়েছেন কেবল ১৫ রান। সাকিব ছিলেন
সবচেয়ে খরুচে। ৪ ওভারে তিনি দিয়েছেন ৩২ রান।