চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে ও সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন জলাবদ্ধতা নিরসন মেগা প্রকল্পের আওতাধীন ৩৬ টি খাল খনন ও সংস্কারের মধ্যে চাক্তাই খাল অন্যতম। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে এবং চট্টগ্রামের মানুষ জলাবদ্ধতা অভিশাপ থেকে মুক্তি পাবে। জলাবদ্ধতা দুর্দশা লাগবে প্রকল্প বাস্তবায়ন ও নিয়মিত ক্র্যাশ প্রোগ্রামের পাশাপাশি নাগরিক সচেতনতাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। আজ বারাইপাড়া নতুন খাল খনন প্রকল্পের কাজ ও বির্জাখালে সংযুক্ত কৃষি খালসহ সংশ্লিষ্ট শাখা খাল সমূহ পরিদর্শনকালে চসিক মেয়র এসব কথা বলেন।
প্রসঙ্গক্রমে তিনি আরো বলেন, চাক্তাই খাল ছিল চট্টগ্রামের আশীর্বাদ। চট্টগ্রামের অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের মূলকেন্দ্র ছিল এ চাক্তাই খালের দুপাশের চাক্তাই, খাতুনগঞ্জ, আছাদগঞ্জ, বক্সিরহাটকে ঘিরেই। বিশেষ করে ভোগ্যপন্য আনয়নে সারাদেশের সাথে চট্টগ্রাম সংযুক্ত এ খালের মাধ্যমে। তাই খালটি বাঁচাতে আমি চাক্তাই খাল খনন সংগ্রাম কমিটি করেছিলাম। তৎকালীন মেয়র আলহাজ্ব এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী ৯ থেকে ১২ ফুট গভীরতা রেখে খালটি খনন ও তলা পাকা করেছিলেন। কিন্তু একটা সময়ে এসে খালটি নিয়মিত মাটি উত্তোলন না করায় এবং খালের দুপাশে বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে ওঠায় মাটি সরানোর যন্ত্রপাতি আনা নেওয়া সম্ভব হয়নি। ফলে পাহাড় ধোয়া পলি, নির্মান কাজের বালি, গৃহস্থালী বর্জ্য, পলিথিনসামগ্রী জমা হয়ে খালটি ভরাট হয়ে চট্টগ্রামবাসীর জন্য অভিশাপে পরিনত হয়েছে। এছাড়াও বহদ্দার হাট হতে বারইপাড়া, কাপাসগোলা, চকবাজার, দেওয়ানবাজার, দক্ষিণ বাকলিয়া ও কোরবানী গঞ্জ এবং খাতুনগঞ্জ হয়ে সাড়ে ছয় কিলোমিটার খালটির বিভিন্ন পয়েন্ট কালভার্টের নিচে গ্যাস ও ওয়াসার পাইপলাইন অপরিকল্পিত স্থাপনা নির্মান, অবৈধ দখল ও পয়ঃ নিস্কাশনে প্রধানতম পথটিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।
পরিদর্শন কালে, অন্যান্যের মধ্যে কাউন্সিলর আশরাফুল আলম, নির্বাহী প্রকৌশলী ফরহাদুল আলম, নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সিদ্দিকী সহ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
- মাঈন উদ্দিন সোহেল