৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার তুরস্ক
ও সিরিয়ায় ঘটে যাওয়া শক্তিশালী ভূমিকম্পে এপর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে
৪৩০০ জন। স্থানীয় সময় ভোর সোয়া চারটার দিকে ভয়াবহতম এ ভূমিকম্পের আঘাতে ধ্বসে পড়ে
বিভিন্ন শহরের ৫ হাজার ৬শ’র বেশি ভবন। এর মধ্যে রয়েছে বেশ কিছু বহুতল আবাসিক ভবন। গত এক শতাব্দীর মধ্যে এটি সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্পের একটি।
রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির তীব্রতা ছিল ৭ দশমিক ৮। গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে এর
গভীরতা ছিল মাত্র ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটার গভীরে।
৭ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার
তুরস্কের ত্রাণ সংস্থা এএফএডি জানায়, এখনো পর্যন্ত তুরস্কে ২,৯২১ জন এবং সিরিয়ায়
১,৪৪৪ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ভূমিকম্পে তুরস্কে ১৪ হাজারেরও বেশি এবং সিরিয়ায়
৩,৪১১ জন আহত হয়। এপর্যন্ত মোট প্রাণহানি ৪,৩৬৫ বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে মৃতের
সংখ্যা আরো বাড়বে বলে জানানো হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তাদের মতে মৃতের
সংখ্যা ২০ হাজারে পৌঁছতে পারে। এদিকে হিমশীতল রাতে নিরলসভাবে জীবিতদের উদ্ধারের
প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা।
তুরস্কের রাষ্ট্রায়ত্ত
সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে জানানো হয়, ভূমিকম্পে তুরস্কের ৭টি
প্রদেশের অন্তত ১০টি শহর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শহরগুলো হলো গাজিয়ান্তেপ,
কাহরামানমারাস, হাতে, ওসমানিয়া, আদিয়ামান, মালাতিয়া, সানলিউরফা, দিয়ারবাকির কিলিস
এবং সিরিয়ার আলেপ্পো, হামা, লাকাতিয়া শহরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয় তুরস্কের
দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল গাজিয়ানতেপ।
ভূমিকম্পের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত দুই দেশের জন্য বিশ্বের অনেকগুলো দেশ সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু বরফ বৃষ্টি ও শুন্যের কাছাকাছি তাপমাত্রার কারণে সহায়তা কাজ ব্যাহত হচ্ছে। তুষার ঝড় ও বরফের কারণে বড় বড় বিমানবন্দরগুলো অকেজো হয়ে পড়েছে। এতে আরো জটিল হয়ে পড়ছে সহায়তার কাজ।
- মা.ফা.