বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ির সদরে বসতভিটার জমি নিয়ে পূর্ববিরোধের
জের ধরে সন্তান শাহ আলমকে হত্যার দায়ে পিতাসহ চারজনের প্রত্যেককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ও ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হল: মোজাফ্ফর আহাম্মদ (৬৫), আরিফ উল্লাহ (৩৫), আছমা ছিদ্দিকা
(২৮) ও শাহনাজ বেগম ।
সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় বান্দরবানের জেলা ও দায়রা জজ মো. ফজলে এলাহী ভূঁইয়া এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার
সময় আসামিদের মধ্যে দুজন আরিফ উল্লাহ ও শাহনাজ বেগম আদালতে উপস্থিত ছিল।
বান্দরবান জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. কামরুল হাসান জানান, আসামি মোজাফ্ফর আহাম্মদ
হল নিহত শাহ্ আলমের পিতা, আরিফ উল্লাহ্ তার ভাই, আছমা ছিদ্দিকা ভাইয়ের স্ত্রী এবং শাহনাজ
বেগম বোন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৬’র ৯ ডিসেম্বর সকাল ৭টার দিকে বসতভিটা নিয়ে পূর্ববিরোধের জের ধরে আসামিরা
দা, হাতুড়ি, লোহার রড ও গাছের লাঠি নিয়ে শাহ্ আলমের বসতঘরে প্রবেশ করে তার মাথায় দা
দিয়ে কোপ দেয়। এসময় তারা রড ও গাছের লাঠির আঘাতে তার মাথায় ও শরীরে গুরুতর জখম করে।
পরে গুরুতর আহত অবস্থায় শাহ্ আলমকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে
পাঠানো হয় । শেষপর্যন্ত ২০১৬’র
১৮ডিসেম্বর ভোর ৬টায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাহ্ আলম
শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করে।
জানা যায়, এ ঘটনায় ১৯ ডিসেম্বর নিহত শাহ্ আলমের স্ত্রী আরফাতুন্নেছা
প্রকাশ আরেফা বাদী হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় মামলা দায়ের করেন।
পরে পুলিশ ২০১৭’র
৮ নভেম্বর এ ঘটনায় আরিফ উল্লাহ, আছমা সিদ্দিকা, মোজাফ্ফর আহাম্মদ ও শাহনাজ বেগমের বিরুদ্ধে
অভিযোগ এনে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। এ মামলায় আদালত রাষ্ট্রপক্ষের ১৬ জন সাক্ষীর
সাক্ষ্য নেয়ার পর রায় ঘোষণা করে।
মামলার রায়ে বাদী আরফাতুন্নেছা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।